বোফর্স তদন্ত ফের শুরু করতে কেন্দ্রের অনুমতি চাইল সিবিআই
ফের বোফর্স তদন্ত শুরু করতে চায় সিবিআই। তদন্তের অনুমতি দিতে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছে তারা। অনুমতি পেলে ২০০৫ সালে তদন্ত বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করবে সিবিআই
ফের বোফর্স তদন্ত শুরু করতে চায় সিবিআই। তদন্তের অনুমতি দিতে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছে তারা। সরকারের অনুমতি পেলে ২০০৫ সালে তদন্ত বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করবে সিবিআই।
২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্ট বোফর্স নিয়ে হিন্দুজা ভাইদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। এরপর থেকেই বোফর্স নিয়ে তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় ক্ষমতায় থাকা ইউপিএ সরকারের কাছে দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিলের অনুমতি চাওয়া হলেও তা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে সিবিআই। বিষয়টি আইনমন্ত্রকেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বোফর্স তদন্তের দেখভালকারী সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সাব কমিটিকেও বিষয়টি জানিয়েছে সিবিআই।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবারের প্রতি আক্রমণ শানিয়েছেন। বোফর্স কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তদের প্রতি মতামত পরিষ্কার করার দাবি করেছেন তিনি। প্রাইভেট ডিটেকটিভ মাইকেল হার্সম্যান দেওয়া বিবৃতি নিয়েও কংগ্রেসের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন স্মৃতি ইরানি। প্রাইভেট ডিটেকটিভের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সুইস ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্টে বোফর্সের ঘুষের টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল।
বুধবার সিবিআই জানিয়েছে হার্সম্যানের দেওয়া ফ্যাক্টস অ্যান্ড সারকামসট্যান্সেস তারা খতিয়ে দেখতে চায়।
২০০৫-এর ৩১ মে বিচারপতি আারএস সোধি হিন্দুজাদের তিন ভাই শ্রীচাঁদ, গোপীচাঁদ এবং প্রকাশচাঁদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খারিজ করে দেয়। বোফর্স কেলেঙ্কারিতে সরকারি রাজস্বের ২৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, ৩০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে বোফর্স নিয়ে ফের শুনানির সম্ভাবনা।