
শ্রদ্ধার খুনি আফতাবের হবে নারকো টেস্ট, সায় আদালতের
আফতাব আমিন পুনাওয়ালা যিনি সেই শ্রদ্ধা খুনিকে এবার নারকো টেস্ট করা হবে। আম্বেদকর হাসপাতালে এই টেস্ট করা হবে। এই খবর মিলছে সিনিয়র দিল্লি পুলিশ অফিসার এবং এফএসএল থেকেও। এই টেস্টের করার সময় এফএসএল দল দল থাকবে। জানানো হয়েছে যে, আফতাবের মেডিকেল টেস্ট করানো হবে। সে সুস্থ রয়েছে কি না সেটাও দেখা হবে।

কী বলছে পুলিশ?
দিল্লি পুলিশ মনে করছে যে শ্রদ্ধা ওয়াকারের যে খুনের রহস্য তা পুরোপুরি ভাব নিস্পত্তি ঘটাতে হলে তার নারকোটিক টেস্ট করাতে হবে। কোর্ট এই টেস্ট করানো হবে তার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে , আফতাবকেও এই বিষয়ে পুরো কথা জানানো হয়েছে।

কুপিয়ে খুন
২৭ বছরের শ্রদ্ধাকে কুপিয়ে খুন করে আফতাব। শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে কেটে ফেলেছিল সে। তারপর সেটিকে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিয়েছিল। এরপর সেগুলিকে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় সব ফেলে দিয়ে এসেছিল।

নারকো টেস্ট কেন করা প্রয়োজন?
একটা নারকো টেস্ট করাতে গেলে সাইকোলজিক্যাল বিষয়টাকে যেমন দেখতে হয় এবং সে শারীরিক ভাবে সুস্থ কী না সেটাও দেখা প্রয়োজন। ডঃ সৌরভ চৌধুরী যিনি বিনায়ক হাসপাতালের কন্সালট্যান্ট ফিজিশিয়ান, তিনি বলেন, "নারকো টেস্ট, এনাস্থেসিয়া করতে হয়। এরপর ওই যাকে এনাস্থেশিয়া করা হচ্ছে তার ঠিক ভাবে জ্ঞান থাকে না, তবে পুরো সংজ্ঞাহীন হয়েও যায় না। অল্প অবচেতন থাকে সে। আর ওই অবস্থ্য ব্রেন তার ভালো ভাবে সজিয়ে মিথ্যা বলার মতো জায়গায় থাকে ন। তখন যা হয় সেটাই সে বলে। তবে ওই টেস্ট করানোর জন্য তার শরীরের কী পরিস্থিতি দেখে নেওয়া হয়, মনের পরিস্থিতিও দেখা হয়। যিনি টেস্ট করাচ্ছেন তাকেও সবদিকটা ঠিক আছে কি না সব দেখতে হয়।"

কী বলছেন চিকিৎসক অনুজ ত্রিপাঠী?
চিকিৎসক অনুজ ত্রিপাঠী বলেছেন , "যার উপর এই পরীক্ষা করা হবে তাকে বিশেষ ইনজেকশন দেওয়া হয়। তাদের দেওয়া ট্রুথ সেরাম নামে একটি ওষুধ দেওয়া হয়। এর জন্যই সে অবচেতন জায়গায় চলে যায়। এই অবস্থায় সে শুধু কানে শুনতে পায় , কথাবার্তাও বলে তবে অনেক নয়। যেটুকু জিজ্ঞাসা করা হবে সেইটুকু উত্তরই সে দেবে। ওই সময়ে সমানে ওই ব্যক্তির শরীর কেমন থাকছে সেটাও দেখা হয়। না হলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
আপনার কি আছে বড় ডিগ্রি? তবেই পাবেন বেঙ্গালুরুতে থাকার জায়গা