বিজেপি শাসিত উত্তরপূর্বের রাজ্যে অশান্তি! ৩ জেলায় ৬ মাসের জন্য ফের বলবত আফস্পা
অরুণাচল প্রদেশের পূর্বের তিন জেলা তিরাপ, লংডিং এবং চাংল্যাঙ-এ আফস্পা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনটি জেলাই মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে অরুণাচল প্রদেশের ওয়েস্ট সিয়াং এবং ইস্ট সিয়াং-এর দুটি থানা এলাকা থেকে আফস্পা তুলে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। অসম সংলগ্ন এই দুটি জায়গায় পরিস্থিতির উন্নতির জন্য এই বিশেষ আইন তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অরুণাচল প্রদেশের পূর্বের তিন জেলা তিরাপ, লংডিং এবং চাংল্যাঙ-এ আফস্পা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনটি জেলাই মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত। একইসঙ্গে অসম সংলগ্ন সাতটি অন্য জেলার আটটি থানা এলাকায় আফস্পা বজায় রাখা হয়েছে। উল্লিখিত তিনটি জেলায় ২০১৬-র জানুয়ারি থেকে আফস্পা বলবত রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তিরাপ, লংডিং এবং চাংল্যাঙ জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। যে দুটি থানা এলাকা থেকে আফস্পা তুলে নেওয়া হয়েছে, তা হল ওয়েস্ট সিয়াং-এর লিকাবলি থানা এবং ইস্ট সিয়াং-এ রাকসিন থানা।
যে আটটি থানা এলাকায় আফস্পা বলবত রাখা হয়েছে, তা হল, ওয়েস্ট খামেং জেলার বালেমু এবং ভালুকপং থানা, ইস্ট খামেং জেলার সিজোসা থানা, পাপুম্পারে জেলার বালিযান থানা, নামসাই জেলার নামসাই এবং মহাদেবপুর, লোয়ার দিবাং ভ্যালি জেলার রোয়িং থানা, লোহিত জেলার সুনপুরা থানা। এনএসসিএন-কে, উলফা-আই, এনডিএফবি-এস-এর হিংসাত্মক কার্য়কলাপের জন্য এই থানা এলাকাগুলিতে আফস্পা প্রয়োগ করা হয়েছে।
অরুণাচল ছাড়াও, পুরো নাগাল্যান্ড, অসমের সঙ্গে সীমান্তে থাকা মেঘালয়ের দশ কিমি পর্যন্ত এলাকায় আফস্পা বলবত রয়েছে। এই মুহূর্তে অসম এবং মনিপুর সরকারের কাছে এই আইন তুলে নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে। ত্রিপুরা থেকে এই আইন বেশ কয়েক বছর আগেই তুলে নেওয়া হয়েছে।