ত্রিপুরার সরকারি খামারে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার আতঙ্ক, শূকরের গণ নিধনের নির্দেশ সরকারের
ত্রিপুরার সরকারি খামারে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার আতঙ্ক, শূকরের গণ নিধনের নির্দেশ সরকারের
মিজোরামের পর এবার আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (এএসএফ) দেখা দিল ত্রিপুরার সরকারি ফার্মে। সেপাহিজালা জেলার অন্তর্গত দেবীপুরে রাজ্যের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগ (এআরডিডি) পরিচালিত সরকারি প্রজনন ফার্মে এএসএফ সনাক্ত হয়েছে। এরপরই আগরতলার তদন্তকারী কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞের দল ওই ফার্মে পৌঁছান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য র্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করেন। এছাড়াও ত্রিপুরা সরকার শূকরের গণ নিধন করার অনুমতি দিয়েছে, তবে তা কেন্দ্রের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ
প্রাণী উন্নয়ন বিভাগ পরিচালিত রোগ তদন্তকারী ল্যাবের শীর্ষ এক আধিকারিক বলেন, '৭ এপ্রিল উত্তর পূর্ব আঞ্চলিক রোগ নির্ধারন ল্যাবে ৩টে নমুনা পাঠানো হয়। ১৩ এপ্রিল পাওয়া শেষ পিসিআর রিপোর্ট অনুযায়ী তিনটে নমুনাই পজিটিভ দাঁড়িয়েছে। এমনকি খামারে এখন আশ্রয় নেওয়া শূকরগুলির লক্ষণগুলিও ইঙ্গিত দেয় যে খামারে ইতিমধ্যে সংক্রমক রোগ প্রবেশ করেছে। ভোপালের ন্যাশনাল ডিজিজ ডায়াগনস্টিক ইনস্টিটিউট থেকে আরেকটি রিপোর্ট আসার কথা ছিল তা এখনও ত্রিপুরায় পৌঁছায়নি।' সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে খামার কর্মীদের এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দু’টি দল গঠন
সরকারি সূত্রের খবর, 'আমরা দু'টি দল গঠন করেছি, প্রত্যেকটিতে ১০ জন করে রয়েছেন। দলগুলো একজন ভেটেরিনারি আধিকারিকের নেতৃত্বে থাকবে এবং তাঁরা সরাসরি নোডাল অফিসারদের প্যানেলে রিপোর্ট করবে। এআরডিডি-এর রোগ তদন্তকারী ল্যাবের দায়িত্বে থাকা ডাঃ মৃণাল দত্ত ও এসডিএম বিশালগড়কে নোডাল অফিসারদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।' জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে গণ নিধনের পর শূকরগুলিকে সমাধিস্থ করার জন্য ৮ ফিট বাই ৮ ফিটের গর্ত খোঁড়া হবে। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে সব শূকর পালন করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে খামারের এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে পাওয়া শূকরগুলিকে নিধন করা হবে এবং রোগের বিস্তার রোধে সমাধিস্থ করা হবে। রোগটিকে খামার এবং তার পরিধির মধ্যে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে ভাইরাসটি রাজ্যে ছড়িয়ে না পড়ে।
কেন্দ্রের অনুমোদন
সূত্রের খবর, শূকর মারার অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলেই এ কাজ করা হবে। জানা গিয়েছে, পরবর্তী পর্যায়ের কাজ তখনই এগিয়ে যাবে যখন রাজ্য সরকারের কাছে কেন্দ্রের অনুমোদনের চিঠি এসে পৌঁছাবে।
রাজ্য সরকার সতর্ক হয়
সরকারি মতে, মোট ৬৩টি পরিণত শূকর অজানা কারণে মারা যাওয়ার পরই সতর্ক হয় রাজ্য সরকার। সরকারি এই ফার্মে ২৬৫ টি পরিণত শূকর ও ১৮৫টি শূকরের বাচ্চা রয়েছে।
করোনা বিপদ কাটেনি, ৩৩ জন পড়ুয়া সহ নতুন করে ১০৭ জন কোভিডে আক্রান্ত নয়ডায়