এ দেশে মিলবে আফ্রিকান চিতার দেখা, কেন্দ্রকে সবুজ সঙ্কেত সুপ্রিম কোর্টের
এ দেশে মিলবে আফ্রিকান চিতার দেখা, কেন্দ্রকে সবুজ সঙ্কেত সুপ্রিম কোর্টের
এবার ভারতে দেখা মিলবে আফ্রিকান চিতার দুরন্ত দৌড়। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে আফ্রিকার চিতা আমদানি করার অনুমতি দিল। কেন্দ্রের পরিকল্পনা গত ১০ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে ছিল।
জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন ছিল জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের (এনটিসিএ) একটি প্রস্তাব। তারা আবেদন করেছিল যাতে দেশের জঙ্গলে ফের একবার পরীক্ষামূলকভাবে আমদানি করা যায় আফ্রিকার চিতা। কারণ পঞ্চাশের দশকে এ দেশের জঙ্গলের শেষ চিতাটিকে মেরে ফেলা হয়েছিল। অবশেষে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এনটিসিএএর প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে। নামিবিয়া থেকে চিতা আনার আবেদন করেছিল এনটিসিএ। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ছিল শুনানি। শীর্ষ আদালত তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করে দেয়।
এই কমিটিতে রয়েছেন ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিকর্তা রঞ্জিত সিং, অবসরপ্রাপ্ত ভারতের ফরেস্ট সার্ভিস অফিসার ও পরিবেশ মন্ত্রকের অফিসার। এই কমিটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এনটিসিএকে পরিচালনা করবে। অনেক দিন ধরেই সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি ঝুলে রয়েছে। এর আগে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে েই প্রস্তাবের পক্ষে সওয়াল করার সময়ে আইনজীবী এস ওয়াসিম আহমেদ কাদরি জানান, এনটিসিএ যথাযথ পর্যবেক্ষণ করে তবেই আবেদন জানিয়েছে শীর্ষ আদালতে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গোটা দেশে মোট তিনটে জায়গা চিতাদের বসবাসের জন্য আদর্শ। এরমধ্যে রয়েছে কুনো ও নওরাদেহি অভয়ারণ্য এবং রাজস্থানের শাহগড় অঞ্চলও।
এনটিসিএএর তরফে জানানো হয়েছে যে এই তিনটে জঙ্গলের সমস্ত সুবিধা–অসুবিধা খতিয়ে দেখছে ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। তারা এও জানায় যে ভারতকে ১৯টি চিতা দিতে আগ্রহী চিতা কনজারভেশন ফান্ড, নামিবিয়া। সেদেশ থেকে ভারতে চিতা নিয়ে আসার খরচ ছাড়া আর কোনও টাকা তারা চায়নি। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে এই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণার দরকার বলে জানায় সর্বোচ্চ আদালত। ভারতের আবহাওয়ায় আফ্রিকার চিতা বাঁচতে পারবে না বলে জানান অনেক পশুপ্রেমী।
বাজেট অধিবেশনে সিএএ, এনআরসি নিয়ে বিজেপিকে কোণঠাসা করতে নতুন নির্দেশ সোনিয়ার