নাক, কান ও গলার মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস! নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের
ইএনটি অপারেশনের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেশি। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অপারেশনথিয়েটারে কোরোনা সংক্রমিত ব্যক্তির ইএনটি অপারেশন করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকেরপক্ষ থেকে এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা জারি
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অপারেশনের আগে কোনও রোগীর করোনা ধরা পড়লে তার অপারেশন পিছিয়ে দেওয়া হবে। চিকিৎসক বিচার করে দেখবেন যে, ১৪ দিন অপারেশন পিছিয়ে গেলে রোগীর ক্ষেত্রে কোনও আশঙ্কা থাকছে কিনা। অপারেশনের সময়পিছিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কিছুদিন পরে তা করা হবে কিনা তা চিকিৎসকরা ঠিক করবেন।
নাক কান ও গলার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে, নাক কান ও গলার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই ইএনটি-র চিকিৎসক, নার্সিংস্টাফ, রোগী ওঅন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনার সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে এই নিয়ম মেনেচলতে হবে।
টেলি মেডিসিনের সুবিধা
দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় প্রথম থেকে টেলি মেডিসিনের সুবিধা নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে অনুরোধ জানিয়েছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নির্দেশিকায় সেই প্রসঙ্গ পুনরায় উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, আউটডোরে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে আসা সমস্ত ইএনটি রোগীর থার্মাল স্ক্রিনিং হবে।
চিকিৎসকদের লেভেল-১ পিপিই ব্যবহার আবশ্যক
এছাড়া যে সমস্ত ইএনটি রোগীর করোনার উপসর্গ রয়েছে, তাদের করোনা ক্লিনিকে স্ক্রিনিং করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের আউটডোরে ইএনটি বিভাগে স্ক্রিনিং হবে না। আউটডোরের ইএনটি বিভাগ খোলামেলা হতে হবে। চিকিৎসকদের লেভেল-১ পিপিই যেমন এন-৯৫ মাস্ক, ফেসমাস্ক, গ্লাভস পরতে হবে।
করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের আলাদা ওয়ার্ডে চিকিৎসা
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে যেনির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তার প্রধান উদ্দেশ্য হল, ইএনটি বিভাগকে করোনা মুক্ত করা। পাশাপাশি করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের আলাদা ওয়ার্ডে চিকিৎসা করতে হবে। সোয়াব টেস্টনেগেটিভ হলে তাদের জেনারেল ওয়ার্ডে সরানো হবে।
রোগীর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না
রোগী যখন হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ভর্তি থাকবেন, তখন তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারবেন না। রোগীর বিছানা থেকে কমপক্ষে দু'মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ইএনটি রোগীদের ওয়ার্ড নির্দিষ্ট করে দিতেহবে। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে এবং ওয়ার্ড জীবাণুমুক্ত করতে হবে। সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড এর মতো রাসায়নিকের ব্যবহারের মাধ্যমে তা করা যেতে পারে বলেনির্দেশিকা জানানো হয়েছে।