আস্থা ভোটের আগেই বড় সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রদেশের স্পিকারের! কংগ্রেসের বড় ধাক্কায় অ্যাডভান্টেজ বিজেপি
বহু টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ। আর এর জেরে বেজায় সুবিধা হল বিজেপির। আর স্পিকারের সিদ্ধান্তে মোটামুটি কংগ্রেসের শেষ ক্ষিণ আশাও শেষ হয়ে গেল। করোনা ভাইরাসও আর বাঁচাতে সক্ষম হল না কংগ্রেসের কমলনাথ সরকারকে।
সিন্ধিয়া বিদায়ে বিপাকে পড়ে কংগ্রেস
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছাড়তেই তাঁর অনুগামী হিসাবে পরিচিত ২২ বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে সেই সব ইস্তফা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে টালবাহানা দেখা গিয়েছিল। তবে ২২ জনের মধ্যে ৬ জন বিধায়কের ইস্তফা গ্রহণ করেছিলেন অধ্যক্ষ। বাকি ছিলেন ১৬। এবার সেই বাকি বিধায়কদের নিয়েও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন অধ্যক্ষ।
মধ্যপ্রদেশের সুপ্রিম লড়াই
মধ্যপ্রদেশের লড়াই বেশ কয়েকদিন ধরেই গড়িয়েছিল আদালতে। বিজেপি সুপ্রিমকোর্টে ফ্লোর টেস্টের দাবি নিয়ে পৌঁছাতেই তার পাল্টা মামলা ঠুকে বিজেপিকে বেগ দিতে ময়দানে নামে কংগ্রেস। এরই মধ্যে সুপ্রিমকোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছিল কংগ্রেস। পাশাপাশি অপর এক মামলায় কর্নাটক হাইকোর্টেও মুখ পুড়েছিল কংগ্রেসের। আর এরই সাথে মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতা দখলের পথ আরও মসৃণ হয়ে যায় বিজেপির জন্য।
বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণ
কংগ্রেসের জোড়া ধাক্কার পর বৃহস্পতিবার রাতেই বিধানসভা অধ্যক্ষ একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণ করেন। কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বিজেপি অপহরণ করেছে, এই অভিযোগে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। তবে এই অভিযোগ ধোপে টেকেনি না আদালতে। মধ্যপ্রদেশ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি চলাকালীন মধ্যপ্রদেশের অধ্যক্ষ বিধায়কদের ইস্তফা খতিয়ে দেখার জন্য ২ সপ্তাহ সময় চায় আদালতের কাছে। তবে সেই সময় আদালত মঞ্জুর করেনি। এরপর এক বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগের রায় নেয় আদালত।
মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা দখলের রাস্তা মসৃণ বিজেপির কাছে
মধ্যপ্রদেশের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে স্পিকারের যোগ স্থাপনের জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিমকোর্ট এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বলে। এর আগে বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেছিলেন, বিক্ষুব্ধ বিধায়করা স্বশরীরে তাঁর সঙ্গে এসে দেখা করলে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হয়ে তবেই তিনি ইস্তফা গ্রহণ করবেন। তবে সুপ্রিম নির্দেশে একপ্রকার বাধ্য হয়েই শেষ পর্যন্ত বাকি ১৬ বিধায়কের ইস্তফা গ্রহণ করেন অধ্যক্ষ।
কমনাথের হার প্রায় নিশ্চিত
এদিকে বুধবার সকালে বেঙ্গালুরুর রামাদা হোটেলের সামনে ধর্নায় বসেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। আর এর জেরেই প্রতিরোধমূলকভাবে দিগ্বিজয়কে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেয়। এরপর ছাড়া পেয়ে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে কর্নাটক হাইকোর্টে এক আবেদন করেছিলেন দিগ্বিজয়। তবে সেই আবেদন নাকচ করে দেয় হাইকোর্ট। এর জেরে কগ্রেসের শেষ আশাও প্রায় মিলিয়ে যায়। আর কংগ্রেস সরকারের কফিনে শেষ পেড়েক হিসাবে আসে অধ্যক্ষের ইস্তফা গ্রহণের সিদ্ধান্ত।