সুপ্রিম কোর্টের রায়! কিছুটা স্বস্তি পেল দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার
দিল্লির প্রশাসনিক কর্তা উপ রাজ্যপাল। এমনটাই জানিয়েদিল সর্বোচ্চ আদালতের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এবিষয়ে সংসদের আইনই সর্বোচ্চ। তবে উপরাজ্যপাল মন্ত্রিসভার কথা শুনতে বাধ্য।
দিল্লির প্রশাসনিক কর্তা উপ রাজ্যপাল। এমনটাই জানিয়েদিল সর্বোচ্চ আদালতের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এবিষয়ে সংসদের আইনই সর্বোচ্চ। তবে উপরাজ্যপাল মন্ত্রিসভার কথা শুনতে বাধ্য। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই তাঁকে কাজ করতে হবে বলেও জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। ৫ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ ৩-২-এ এদিনের আদেশ দিয়েছে।
উপ রাজ্যপালকে সরকারের সঙ্গে সমন্বয়সাধন করে কাজ করতে হবে। নির্বাচিত সরকারের কাজে তিনি বাধা দিতে পারেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সর্বোচ্চ আদালতের এদিনের রায়ের ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কেন্দ্রের সঙ্গে দিল্লির আপ সরকারের রাজনৈতিক যুদ্ধে অবসান হল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে এই রায়ে রাজনৈতিকভাবে আপ কিছুটা স্বস্তি পেল।
দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে উপ রাজ্যপালের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে আপ সরকার। উপ রাজ্যপাল বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করে এসেছে আপ সরকার। এক্ষেত্রে কেন্দ্রে কথা মতো উপরাজ্যপাল কাজ করেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে দিন কয়েক আগে। যখন মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে উপ রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে তাঁর সরকারি আবাসে গিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানেই ধর্না শুরু করে দেন তাঁরা। তাদের তরফে অভিযোগ করা হয় দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে কাজে অসুবিধা তৈরি করছেন উপ রাজ্যপাল। দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল দিল্লি প্রশাসনের কর্তা উপ রাজ্যপাল।
আপের তরফে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন একাধিক বর্ষীয়ান আইনজীবী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গোপাল সুব্রামনিয়াম, রাজীব ধওয়ান এবং ইন্দিরা জয়সিং। সংবিধানের ২৩৯এএ ধারা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।