মেঘালয়ে দলের বড় ভাঙনে নিশানায় তিন! অবস্থান 'বদল' নিয়ে মমতাকে তীব্র কটাক্ষ অধীরের
মেঘালয়ে দলের বড় ভাঙনে নিশানায় তিন! অবস্থান 'বদল' নিয়ে মমতাকে তীব্র কটাক্ষ অধীরের
মেঘালয়ে (Meghalaya) দলের ভাঙন নিয়ে দলত্যাগী নেতাকে নয় তিনজনকে নিশানা করলেন বহরমপুরের সাংসদ তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। এই তিনজনের একজন অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিনও অধীর চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান বদল নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন, ভাইপোকে ইডি ডাকার পর থেকেই পরিস্থিতির বদল হতে শুরু করেছে।
দলবদল নিয়ে মুকুল সাংমা
বুধবার রাতে জানা গিয়েছিল মেঘালয়ের ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করছেন। এব্যাপারে এদিন মুখ খুললেন রাজ্যের প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। এদিন তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, কংগ্রেস দেশের প্রধান বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই কারণেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। মেঘালয়ে দলের বিধায়কদের একটা বড় অংশের দলবদলের সিদ্ধান্তে ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে কংগ্রেস। এর জেরে কংগ্রেস রাজ্যে বিরোধী দলের মর্যাদা হারিয়েছে। তৃণমূল সেই মর্যাদা পেতে চলেছে।
কংগ্রেসকে ভাঙতে ষড়যন্ত্র
অধীর চৌধুরী এদিন অভিযোগ করেন, শুধু মেঘালয়েই নয়, সমগ্র উত্তর-পূর্বে কংগ্রেসকে ভাঙতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, এঁদের সবাইকে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত করে আনুন, তারপরেই তাঁদেরকে দলে স্বাগত জানান।
অধীরের নিশানায় প্রশান্ত কিশোর, লুইজিনো ফেলেইরো
এই দলবদল নিয়ে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর এবং গোয়ার তৃণমূল নেতা লুইজিনো ফেলেইরোকে দায়ী করেছেন। প্রসঙ্গ উল্লেখ্য লুইজিনো ফেলেইরো এআইসিসির তরফে উত্তরপূর্বের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে একবার দলের ভাঙন রুখেছিলেন, এবার আর তা হয়নি। বরং তিনিই এব্যাপারে সাহায্য করেছেন। অন্যদিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে মুকুল সাংমা প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এদিন বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে অধীর চৌধুরী ওই দুজনের নাম করে নিশানা করেছেন।
ক্ষুণ্ণ হতে প্রধানমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে এবারের সফরে দেখা না করার প্রসঙ্গে বলেছেন, কোনও তো বাধা ধরা নিয়ম নেই দিল্লি গেলেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হবে। এব্যাপারে অধীর চৌধুরী বলেছেন, যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতেন, তাহলে ক্ষুণ্ণ হতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেছেন, ইতি ভাইপোকে ডেকে পাঠানোর পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। তার আগে অবশ্য সনিয়া গান্ধী বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন।