অধীর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকবেন নাকি লোকসভার দলনেতা, নির্বাচনের আগে দোদুল্যমানতা
অধীর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকবেন নাকি লোকসভার দলনেতা, নির্বাচনের আগে দোদুল্যমানতা
কংগ্রেসেও এক ব্যক্তি এক পদ চালু হতে চলেছে। এই নীতিতে যেমন অশোক গেহলট মুখ্যমন্ত্রী নতুবা সভাপতি পদ নিতে পারবেন কংগ্রেসের, তেমনই অধীর চৌধুরীর ক্ষেত্রেও তা হতে চলেছে। হয় তিনি থাকবে লোকসভার বিরোধী দলনেতা, নতুবা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। দুটি পদ অলঙ্কৃত করে আর থাকা যাবে না কংগ্রেসে।
অধীর চৌধুরী এক ব্যক্তি এক পদ নীতির কোপে!
কংগ্রেসে শুধু নতুন সভাপতি নির্বাচনের অপেক্ষা। তারপর খোলনোলচে অনেক বদলে যাবে। অধীর চৌধুরীর ডানা ছাঁটা হবে এক ব্যক্তি এক পদ নীতিতে। এআইসিসি সূত্রে খবর তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে রেখে লোকসভার দলনেতার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হতে পারে। আবার উল্টোটাও হতে পারে। তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকেও সরানো হতে পারে, কিন্তু তার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভরশীল
শশী থারুর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি যদি কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন, তবে অন্য কথা। কিন্তু তিনি যদি সভাপতি নির্বাচিত না হন, তখন তাঁকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে অধীর চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন তিনি। অন্যথায় অধীরকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে লোকসভার দলনেতা রেখে দেওয়া হতে পারে।
অধীর চৌধুরীই থাকবেন, নাকি শশী থারুর বসবেন
অক্টোবরের ১৯ তারিখেই ঠিক হয়ে যাবে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি কে হতে চলেছেন। তারপরই অধীর চৌধুরীর ভাগ্য নির্ধারণও হয়ে যাবে। মোট কথা শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগেই স্থির হয়ে যাবে কে বসবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতার আসনে। অধীর চৌধুরীই থাকবেন, নাকি শশী থারুর বসবেন!
থারুরের জন্য বিকল্প প্রস্তুত রাখছেন সোনিয়া-রাহুলরা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কথায়, রাহুল গান্ধীর সংসদীয় রাজনীতির কথা ভেবে শশী থারুরকে চটাতে চাইছে না কংগ্রেসে। কেননা রাহুল গান্ধী এবারও কেরলের ওয়ানাড থেকে লোকসভায় লড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে শশী থারুরকে প্রয়োজন। তাঁকে তাই গুরুত্বের আসনে রাখতে চাইছে কংগ্রেস। থারুরের জন্য বিকল্প প্রস্তুত রাখছে কংগ্রেস।
শশী থারুর লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেন
রাহুল গান্ধী বা সোনিয়া গান্ধী কিংবা গান্ধী পরিবারের কেউ প্রার্থী হবেন না নিশ্চিত হয়েই শশী থারুর কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়বেন বলে মনস্থ করেন। সোনিয়া রাহুলের সঙ্গে কথা বলেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর নিজের রাজ্য কেরল। কেরলের প্রদেশ নেতারা রাহুল গান্ধীকে সভাপতি দাবি করে প্রস্তাব পাস করিয়েছে। তারপর ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই হাফ ডজন নেতা সভাপতির দৌড়ে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। তা যদি হয় শশী থারুর এই লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেন। এই অবস্থায় তাঁর জন্য বিকল্প পথ প্রস্তুত করে রাখছেন সোনিয়া-রাহুলরা।
তৃণমূলের আর এক 'অনুব্রত’! হাত-পা কেটে নেওয়ার কটূ রাজনীতিতে নয়া সংযোজন