আদানি গ্রুপের সাফাই স্পষ্ট নয়, পাল্টা ৪৩ পাতার রিপোর্ট পেশ হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের
চিনা নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগের কথা অস্বীকার আদানি গ্রুপের
চিনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আদানি গ্রুপ যে দাবি করেছে তা স্পষ্ট নয়। পাল্টা ৪০ পাতার রিপোর্ট পেশ করে জানাল হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তারা জানিয়েছে চিনা নাগরিকের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য আদানি গ্রুপ পেশ করেনি। আদানি গ্রুপের সঙ্গে চিনা নাগরিক চ্যাং চুং লিং-য়ের কী সম্পর্ক তা কিছুতেই জানাতে চায়নি তারা এমনই দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
চিনের সঙ্গে আদানি গ্রুপের যোগ
চিনা নাগরিকের সঙ্গে আদানি গ্রুপের যোগাযোগ ফাঁস হয়ে গিয়েছে। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট এই তথ্য ফাঁস করেছে। ভারতীয় শিল্পপতি আদানিদের সঙ্গে চিনা নাগরিক চ্যাং চুং লিঙেয়ের সম্পর্ক রয়েছে। এমনই দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। গৌতম আদানির বড় দাদা বিনোদ আদানির সঙ্গে নাকি সেই চিনা নাগরিকের সম্পর্ক রয়েছে। এই চিনা নাগরিকের সঙ্গে জোট বেঁধে অ্যামিক্রোপ নামক সংস্থার মাধ্যমে শেয়ার বাজারে একাধিক বিনিয়োগ করা হয়েছে।
আর্থিক প্রকারণা চক্র
অ্যামিক্রপ নামে সংস্থাটি আন্তর্জাতিক মহলে প্রতারক হিসেবেই পরিচিত। একা একাধিক বার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। তারপরেও সেই সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে শেয়ার মার্কেটে একাধিক শেয়ারে বিনিয়োগের অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে একাধিক মিউচুয়াল ফান্ডের স্কিম শুরু করার অভিযোগ উঠেছে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে। সেবির আইন না মেনেই সেই সব মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম শুরু করছে তারা। তার মধ্যে রয়েছে আয়ুশ্মত লিমিটেড, সিওয় গ্লোবাল অপার্চুনিটি ফান্ড, গ্রেট ইন্টার ন্যাশনাল টাস্কার ফান্ড, অ্যাভিয়েটর গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট।
অভিযোগ অস্বীকার আদানিদের
যদিও চিনা নাগরিকের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ অস্বীকার করেছে আদানিগ্রুপ। তারা দাবি করেছে, এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেছে। গৌতম আদানির দাদার সঙ্গে চিনা নাগরিক চিং চ্যাং লুং-য়ের যে সম্পর্কের কথা বলা হচ্ছে সেটা একেবারেই সত্যি নয় বলে দাবি করেছে তারা। ব্যবসার সঙ্গে চিনা নাগরিকের কোনও যোগাযোগ নেই বলেও পাল্টা দাবি করেছে। এককতায় হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টকে মিথ্যে বলে দাবি করেছে আদানি গ্রুপ।
পাল্টা ৪৩ পাতার রিপোর্ট পেশ
এদিকে আবার পাল্টা ৪৩ পাতার রিপোর্ট পেশ করেছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। তারা দাবি করেছে কোনও রকম সাফাই আদানি গ্রুপ দেয়নি। এবং চিনা নাগরিকের সঙ্গে সম্পর্কের কথা গোপন রাকার চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। এমনকী তাঁদের দেওয়া রিপোর্টে কোনও প্রশ্নের উত্তরই আদানি গ্রুপ দেয়নি। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অসৎ উপায়ে আদানি গ্রুপ শেয়ার মার্টেকে লাভ কুড়িয়েছেন। এবং নিজেদের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে।