সরকারি পরিসংখ্যানের থেকে অনেকটাই বেশি আসল আক্রান্ত-মৃতের সংখ্যা? রাজ্যে রাজ্যে বাড়ছে উদ্বেগ
সরকারি পরিসংখ্যানের থেকে অনেকটাই বেশি আসল আক্রান্ত-মৃতের সংখ্যা? রাজ্যে রাজ্যে বাড়ছে উদ্বেগ
বেলাগাম করোনা সংক্রমণের মুখে দেশ। দৈনিক আক্রান্তের নিরিখেও ভাঙছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড। এমনকী গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনার কবলে পড়েছেন ৩ লক্ষ ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৮১২। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা ভারতে যে হারে মৃত্যু মিছিল চলছে তা মৃতের সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের থেকে অনেকটাই বেশি।
দৈনিক সংক্রমণে বিশ্ব রেকর্ড করছে ভারত
এদিকে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাতের পর করোনার দাপট অনেকটাই বেড়েছে উত্তরপ্রদেশে। এমনকী দেশে করোনার অন্যতম প্রধান ভর কেন্দ্রও হয়ে উঠছে যোগী রাজ্য। অন্যদিকে দেশের প্রায় প্রতিটা কোভিড হাসপাতালেই দেখা দিয়েছে চরম অক্সিজেন সঙ্কট। অন্যদিকে দৈনিক সংক্রমণ রোজই বিশ্ব রেকর্ড গড়ছে ভারত।যার জেরে বেড়েই চলেছে উদ্বেগ।
আসল আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি ?
অন্যদিকে বর্তমানে ভারতের যা অবস্থা তাতে মনে করা হচ্ছে আক্রান্তের পাশাপাশি মৃতদের আসল পরিসংখ্যানও অনেকটাই বেশি হওয়ার কথা। হাসপাতালগুলির পাশাপাশি শ্মশ্মান সহ সর্বত্রই করোনা আক্রান্তদের পাশাপাশি মৃতের নির্দিষ্ট রেকর্ড না রাখতে পারার কারণেই এই অবস্থা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দৈনিক সংক্রমণে পার হয়ে যাবে ৫ লক্ষের গণ্ডি
এমনকী মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লক্ষের গণ্ডি পার করে যেতে পারে বলে মনে করছে নীতি আয়োগ। এদিকে অনেক রাজ্যেই অভিযোগ উঠছে রাজ্যের ভাবমূর্তি বাঁচাতেই আক্রান্তের পাশাপাশি বিশাল পরিমাণ মৃতদের আড়াল করছে রাজনৈতিক দলগুলি। যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হচ্ছে। অন্যদিক সামজিক বঞ্চনার শিকার হবার আশঙ্কায় অনেক করোনা আক্রান্ত ও মৃতের পরিবারও সংক্রমণের কথা লুকাচ্ছে বলে অভিযোগ।
একনজরে ভারতের করোনা পরিসংখ্যান
গত ১৫ এপ্রিল থেকে দেশে প্রতিদিন ২ লাখের বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ২৮ লক্ষ ছাড়িয়েছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশের অবস্থা সবথেকে ভয়াবহ। রেকর্ড সংক্রমণের পাশাপাশি প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে সেখানে। আর তাতেই নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ। আজকের পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ১৩ হাজার ১৬৩।