অভি-নেতা, তাই বুঝি সংসদে দেখা মেলা ভার?
এই যেমন ধরুন হাজিরা খাতা বলছে লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল এবং বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনীর উপস্থিতির হার শূন্য। প্রথম অধিবেশন একদিনও উপস্থিত ছিলেন না এই দুই 'অভি-নেতা (হিন্দি শব্দ, বাংলায় যার মানে এখন নেতা)'। যদিও তাপসবাবুর সঙ্গী দেব যিনি এই প্রথমবার তৃণমূলের টিকিটে সংসদে পৌছছেন, হাজিরার দিক থেকে তাপস বাবুর থেকে এগিয়ে থাকলেও দূরত্ব বেড়ে যাবে ভয় বেশি দূরে যাননি। সংসদে দেবের উপস্থিতির হার ৭ শতাংশ।
তবে তৃণমূলের তারকা নারী বাহিনী কিন্তু সেদিক থেকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সংসদকে। হাজিরা খাতা অন্তত এমনটাই বলছে। তাপস পাল, দেব যেখানে সংসদে তৃণমূলের নাক কাটতে বসেছেন সেখানেই বাংলার দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনমুন সেন ও শতাব্দী রায় দুজনেরই উপস্থিতির হার নজরকাড়া। প্রথমবারের সংসদে মুনমুন সেনের উপস্থিতির হার যেখানে ৭৩ শতাংশ, সেখানে তুলনামূলকভাবে অভিজ্ঞ সাংসদ শতাব্দীর এখনও পর্যন্ত সংসদে হাজিরার হার ৯৩ শতাংশ।
তরুণ সাংসদদের উপস্থিতির হার নজরকাড়া, বাংলার মহিলা সাংসদরাও এগিয়ে হাজিরায়
২৫ জুলাই পর্যন্ত পিআরএস-এ তথ্য বলছে, চলতি বাজেট অধিবেশনে দেখা গিয়েছে, জনপ্রিয় রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যদের তুলনায় বাংলার মহিলা তারকাপ্রার্থীদের উপস্থিতির হার অনেক ভাল। এদিকে উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় ও শাসক দল যাদব পরিবারের পুত্রবধু ডিম্পল যাদবের শোচনীয় হাজিরা হার বলার কথা নয়। লোকসভায় তাঁর উপস্থিতির হার মাত্র ১৩ শতাংশ।
তবে সংসদদের যুব বিগ্রেড যে সংসদকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন তা স্পষ্ট তাঁদের হাজিরাতেই। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল সুপ্রিমো ও পি চৌটালার ছেলে ২৬ বছরের দুষ্মন্ত চৌটালা, হরিয়ানার সাংসদ, তাঁর শুধু উপস্থিতির হার নয়, সংসদের অংশগ্রহণের রেকর্ড নজর কাড়ার মতো। ইতিমধ্যেই ৬টি তর্কে অংশ নিয়েছেন, ৪৯টি প্রশ্ন করেছেন, সংসদে তাঁর উপস্থিতির হার ৮০ শতাংশ। চৌটালার পাশাপাশি এলজেপি প্রধান রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসোয়ান, বিজেপির প্রাক্তন নেতা প্রমোদ মহাজনের মেয়ে পুনম মহাজন একদিনও সংসদ অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের উপস্থিতির হার ১০০ শতাংশ।