ভারতে সক্রিয় করোনা কেস ৯ লক্ষের নীচে, জানেন কি এর পেছনের কারণগুলি
দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ হ্রাস হওয়ার ফলে সক্রিয় কোভিড কেস নয় লক্ষের নীচে চলে গিয়েছে। যেখানে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সক্রিয় করোনা কেস ছিল ১০.১৭ লক্ষের বেশি। শুক্রবারই এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

সুস্থতার হার বেশি
এই সময়ের মধ্যে সক্রিয় করোনা কেস ২০ শতাংশ হ্রাস পাওয়ার ফলে প্রায় ২৩ হাজার মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৮০ শতাংশ সনাক্ত করা হয়েছে দৈনিক নতুন আক্রান্তের ক্ষেত্রে, যদিও তা সুস্থতার হারের চেয়ে তা অনেক কম। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ছিল যেখানে ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সেপ্টেম্বরের পর থেকে বৃহস্পতিবার দৈনিক ৭০,৪৯৬ জন আক্রান্ত সবচেয়ে কম ছিল, শুধু সোমবারই দৈনিক নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬১ হাজার, তার কারণ রবিবার কম করোনা টেস্ট হয়েছে।

আচমকা দৈনিক কেস হ্রাস পেয়েছে কেরলেও
বৃহস্পতিবার দৈনিক নতুন আক্রান্ত কম হওয়ার পেছনে বড় অবদান ছিল কেরলের। এই রাজ্যে হঠাৎই বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পায়। একমাত্র বুধবারই দৈনিক নতুন করোনা আক্রান্তে কেরল সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়ে, এই প্রথমবার এ রাজ্যে একদিনে দশ হাজারের বেশি কেস দেখা যায়। যদিও মাত্র একদিনের ব্যবধানেই বৃহস্পতিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজারের কমে চলে যায়। বর্তমানে কেরল সবচেয়ে দ্রুত করোনা বৃদ্ধির রাজ্য হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। গত দু'সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন সাত থেকে নয় হাজার নতুন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তিন সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথম বৃহস্পতিবার কেরলে নতুন আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতার সংখ্যা বেশি। এদিন সাত হাজারের বেশি মানুষ করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানা গিয়েছে।

দৈনিক নতুন আক্রান্ত কমেছে পূর্ব গোদাবরী জেলায়
অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এক লক্ষের বেশি দেখা দেওয়ায় এটি নন-মেট্রো, নন-টায়ার-১-এ পরিণত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, কাকিনাড়া ও রাজমুন্ধ্রি শহর নিয়ে গঠিত পূর্ব গোদাবরী জেলা দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যের বৃহত্তম সংখ্যক করোনা সংক্রমণে অবদান রেখে চলেছে। তবে গত দু'সপ্তাহে বাকি রাজ্যের মতো পূর্ব গোদাবরীতেও নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। এটি ক্রমাগত প্রতিদিন হাজারের নীচে আসতে আসতে বৃহস্পতিবার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫২-তে, যা জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহের পর থেকে সবচেয়ে কম বলে জানা গিয়েছে।

মহারাষ্ট্র ও দিল্লি–বেঙ্গালুরু কিছু শহরে সংক্রমণ বাড়ছে
থানে শহরও সংক্রমণের দিক থেকে দেশের মধ্যে পঞ্চম শহর, যেখানে ২ লক্ষের বেশি করোনা ভাইরাসের কেস রিপোর্ট হয়েছে। অবাক হওয়ার মতো বিষয় যদিও নয়, কারণ এই পাঁচটি শহরের মধ্যে পুনে, মুম্বই ও থানে হল মহারাষ্ট্রের ও অন্য দুই শহর হল দিল্লি এবং বেঙ্গালুরুর। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সংক্রমণের সংখ্যা তিন লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছে এবং পুনেতে দিল্লির চেয়েও বেশি কেসবোঝা রয়েছে।

দেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা
এখনও পর্যন্ত ভারতে ৬৯ লক্ষ মানুষ করোনা সংক্রমিত এবং যার মধ্যে ৫৯ লক্ষ বা ৮৫ শতাংশ মানুষ করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই মারণ রোগে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছে ১.০৬ লক্ষ জন।

করোনা বিধির তোয়াক্কা না করে জন্মদিন পালন, বিজেপি সাংসদের নামে নালিশ মোদীর কাছে