সতীত্ব প্রমাণে বধূর হাত জ্বলন্ত কয়লায় পোড়াল শ্বশুরবাড়ির লোকজন, হইচই যোগীর রাজ্যে
পরকীয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত গৃহবধূকে সতীত্বের পরীক্ষায় বসিয়ে হাতে জ্বলন্ত কয়লা চেপে ধরে হাত পুড়িয়ে দেওয়া হল।
বিজ্ঞানের অগ্রগতির পাশাপাশি কুসংষ্কার যে এখনও সমাজকে গ্রাস করে রেখেছে তা ভারতের নানা প্রান্তের খবরে বেশ টের পাওয়া যায়। উত্তরপ্রদেশের অন্যতম জনপ্রিয় শহর মথুরাতেই এমন এক ঘটনা ঘটল যা চমকে দেওয়ার মতো। পরকীয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত গৃহবধূকে সতীত্বের পরীক্ষায় বসিয়ে হাতে জ্বলন্ত কয়লা চেপে ধরে হাত পুড়িয়ে দেওয়া হল।
মথুরার ঘটনায় হইচই
গত সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি বেঞ্চ পরকীয়াকে অপরাধের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। কেউ কোনও সম্পর্কে থেকে অন্য সম্পর্কে জড়ালে তাতে শাস্তিযোগ্য অপরাধের আওতায় রাখা হয়নি। তবে সামাজিক স্তরে এর কতটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল মথুরার ঘটনা। সুমানি ও জয়বীরের গতবছরের এপ্রিলে বিয়ে হয়েছিল। একইদিনে জয়বীরের ভাই জসবীরের সঙ্গে সুমানির বোন পুষ্পার বিয়ে হয়।
শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার
তবে ছয় মাস যেতে না যেতেই তান্ত্রিকের কথা শুনে জয়বীরের মা বৌয়ের জন্য অগ্নিপরীক্ষার ব্যবস্থা করে। গ্রামের পঞ্চায়েতে খবর যায়। এরপরে জনসমক্ষে জোর করে হাতে জ্বলন্ত কয়লা চাপিয়ে দেওয়া হয়। চেষ্টা করেও হাত সরাতে পারেননি সুমানি। হাতে কয়লা চেপে ধরা হয়। কেন এমন করলেন শাশুড়ি? সুমানির অভিযোগ, বারবার তাঁকে পরকীয়ায় জড়িত বলে অভিযোগ তোলা হতো। মারধর, হেনস্থা করা হতো। পণের দাবি করা হতো।
[আরও পড়ুন:সন্দেশ খাওয়ানোর অপরাধ! ৮০ বছরের বাবা-কে বেধড়ক চড় ছেলের, ভাইরাল হল ভিডিও]
আগেও হত্যার চেষ্টা
এই ঘটনার পরে সুমানি পুলিশে অভিযোগ করেছেন। শাশুড়ি সহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে শারীরিক অত্যাচার, পণের দাবি সহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগেও তাঁর স্বামী হাত ছুরি দিয়ে কেটে হত্যার চেষ্টা করে বলে সুমানি অভিযোগ করেছেন। তখন পুলিশে অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনা মিটমাটের পরামর্শ দেয় বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা।
[আরও পড়ুন:ঘরে তালাবন্ধ অভুক্ত অশীতিপর মা, বউ নিয়ে ছেলে দেশ ভ্রমণে, দেখুন ভিডিও ]