প্রেম থেকে সহবাস, সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে ২১ বছর আগে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত নির্দোষ প্রমাণিত
'এটাকে ধর্ষণ বলা চলে না, তাঁদের মধ্যে গভীর প্রেম ছিল।’ ২১ বছর আগে হওয়া এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার রায়ে এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত লক্ষ্য করেছে যে ওই ব্যক্তি ও তাঁর প্রেমিকার ধর্ম আলাদা হওয়ার কারণে তাঁর বিয়ে করতে পারেননি, সেই জন্যই প্রেমিকা তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন।

ঝাড়খণ্ডের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। যার জন্য তাঁকে অবৈধভাবে কারাবাসেও রাখা হয়। ওই মেয়েটির অভিযোগে চার বছর আগেকার ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ট্রায়াল কোর্ট ওই ব্যক্তিকে সাত বছরের সাজা ঘোষণা করে। এমনকী ওই ব্যক্তি ঝাড়খণ্ড আদালতকে তাঁদের দু’জনের মধ্যে বিনিময় হওয়া প্রেমপত্র দেখান এবং আদালতকে এও জানান যে অভিযোগকারিনী বিনা প্রতিবাদে ওই ব্যক্তির বাড়িতে ১৫ দিন ছিলেন। তবে ওই ব্যক্তির ভাগ্য বদলাতে দু’দশকের বেশি সময় লেগেছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আরএফ নারিম্যানের বেঞ্চ জানান যে এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে হাইকোর্টে পেশ করা ওই ব্যক্তির সঙ্গে অভিযোগকারিণীর একসঙ্গে ছবি ও প্রেমপত্র দেখার পরও সঠিক রায় দিতে ব্যর্থ হয় হাইকোর্ট। ওই ব্যক্তি জোর করে অভিযোগকারিণীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেছে বা তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসে লিপ্ত হয়েছে, এ ধরনের অভিযোগাকারিণীর সাক্ষ্য খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি নবীন সিনহা বলেন, 'আমাদের এই সিদ্ধান্তে আসতে কোনও দ্বিধাবোধ নেই যে অভিযোগকারিণী স্বেচ্ছায় অভিযুক্তের সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত হন এবং অভিযুক্ত তাঁকে কোনও জোর জবরদস্তি করেননি। সেই সময় তাঁরা গভীর প্রেমের মধ্যে ছিলেন। অভিযোগকারিণী তাঁর শরীর ছোঁয়ার অধিধার নিজের ইচ্ছায় ওই ব্যক্তিকে দিয়েছেন।’
এখানে উল্লেখ্য যে ওই ব্যক্তি তপশিলী উপজাতির ও মেয়েটি খ্রিস্টান। বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'পারম্পরিক সমাজে তাঁদের ধর্মীয় বিশ্বাস আলাদা। যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা একেবারেই ভিত্তিহীন, কারণ দু’জনের মধ্যে প্রেমপত্র বিনিময় হওয়া এবং দু’জনের একসঙ্গে ছবি দেখে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে তাঁদের মধ্যে ভালোবাসা বেড়ে উঠছিল এবং তা পরিণত হয় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। তবে অভিযুক্ত কোনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেননি অভিযোগকারিণীকে।’
জানতে চান কবে আসছে করোনা ভ্যাকসিন? ঘুরে আসতে পারেন কেন্দ্রের এই নয়া পোর্টাল থেকে