কেরলের জিসা হত্যা মামলায় বুধবার সাজা ঘোষণার সম্ভাবনা
কেরলের দলিত ছাত্রী জিসা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আমিরুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণা করবে আদালত। ২০১৬-র ২৮ এপ্রিল এর্নাকুলামের পেরামবাভুরে নিজের ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়
কেরলের দলিত ছাত্রী জিসা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আমিরুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। বুধবার এই মামলার রায় ঘোষণা করবে আদালত। ২০১৬-ক ২৮ এপ্রিল এর্নাকুলামের পেরামবাভুরে নিজের ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় আইনের ছাত্রী জিসাকে।
২০১৬-ক ২৮ এপ্রিল কেরলের এর্নাকুলামের পেরামবাভুরে নিজের ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় আইনের ছাত্রী জিসাকে। এমনটাই জানিয়েছিলেন তাঁর মা রাজেশ্বরী। জানা যায়, হত্যার আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।
এর্নাকুলামের প্রিন্সিপাল সেসন্স কোর্ট জাজ এ অনিল কুমার বুধবার এই মামলার শাস্তি ঘোষণা করতে পারেন। ৩০২, ৩৭৬ এবং ৩৭৬(এ) ধারার দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে মহম্মদ আমিরুল ইসলামকে। যদিও ২০১ ধারায় অপরাধীর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করা যায়নি।
৬ ডিসেম্বর আদালত এই মামলার শুনানি শেষ করে। জানা গিয়েছে, ৮৫ দিন ধরে এই মামলার শুনানি চলে। ১৫ জন শ্রমিক-সহ সাক্ষী ছিলেন ১০০ জন। শুনানিতে ২৯০ টি ডকুমেন্টস এবং ৩৬ টি মেটিরিয়াল এভিডেন্স দাখিল করা হয়। সিসিটিভির সাহায্যও নিয়েছিল পুলিশ। ফরেনসিক এবং ডিএনএ রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছিল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, জিসার ডিএনএ , জুতো, নখ অভিযুক্তের সঙ্গে মিলে যায়।
আমিরুল ইসলাম অসমের শ্রমিক ছিল। কেরল পুলিশের বিশেষ তদন্তকারীদল ২০১৬-র ১৬ জুন তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার পর জিসার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে, সে পুলিশকে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আমিরুলের প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় জিসাকে ৩০ বার ছুরির আঘাত করা হয়।