লোকসভার সাংসদদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ গত এক দশকে ৮৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে
লোকসভার সাংসদদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ গত এক দশকে ৮৫০ শতাংশ বৃদ্ধি
উত্তরপ্রদেশের উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের সাথে বিজেপি বিধায়কের সরাসরি যোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে আগেই। যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এবারে এক বেসরকারি সংস্থার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় পাওয়া যায় কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত ৮৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে লোকসভার সাংসদের দ্বারা মহিলাদের যৌন হেনস্তার ঘটনা।
গত এক দশকে ৮৫০ শতাংশ বেড়েছে যৌন হেনস্তায় ঘটনা
অ্যাসোসিয়েশান অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস তাদের প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করেছে যে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া যৌন হেনস্তার ও অপরাধমূলক ঘটনার সাথে জড়িত সাংসদদের সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রায় ৮৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ৭৫৬ জন সাংসদ এবং ৪০৬৩ জন বিধায়কের উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে যে এর মধ্যে ৫৮ জন বিধায়ক এবং ১৮ জন সাংসদ মিলিয়ে মোট ৭৬ জনের বিরুদ্ধে মহিলাদের উপর হওয়া যৌন হেনস্থা ও অপরাধমূলক ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তালিকায় রয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেসের একাধিক নেতার নাম
এই ধরণের ঘটনার সাথে উল্লেখযোগ্য ভাবে সবথেকে বেশি পরিমানে জড়িত বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কেরা। ভারতীয় জনতা পার্টির মোট ২১ জন বিধায়ক ও সাংসদ এই ধরণের অপরাধমূলক ঘটনার সাথে জড়িত। খুব একটা পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। কংগ্রেসের মোট ১৬ জন এমএলএ ও এমপি মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের সাথে জড়িত ।
এই ধরণের অপরাধীদের বারংবার নিজেদের ছাতার তলায় আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে। প্রায় ৬৬জন নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ বিভিন্ন অভিযোগ থাকা সত্বেও তাদেরকে ভোটে লড়ার জন্য টিকিট দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস তাদের দলের এইরকম ৪৬ জনকে এবং মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী তাদের দলের ৪০ জনকে টিকিট দিয়েছিল নির্বাচনে লড়ার জন্য।
গত পাঁচ বছরে ৪১ জন বিধায়ক ও সাংসদের নাম জড়িয়েছে ধর্ষণের ঘটনায়
গত পাঁচ বছরে এরকম ৪১ জন বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের ঘটনায় সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ থাকলেও তাদেরকে নির্বাচনের টিকিট দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গুলি। ছয়জন এমএলএ ও তিনজন এমপির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না থাকার কথাও জানা গেছে ওই সমীক্ষা থেকে। বহু নির্দল প্রার্থী দের বিরুদ্ধেও আছে এই অভিযোগ।
নাম জড়িয়েছে তৃণমূলেরও
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও বিষয়টা আলাদা না। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের বহু বিধায়ক ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আছে এই ধরণের অভিযোগ। তার পরেই আছে মহারাষ্ট্র ও উড়িষ্যা। পিছিয়ে নেই বিহারও। গত পাঁচ বছরে মহারাষ্ট্রের ৮৪ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে চলছে ফৌজদারি মামলা। বিহারের ৭৫ জন এবং পশ্চিমবঙ্গের ৬৯ জনের বিরুদ্ধেও রয়েছে একই অভিযোগ।