আপাতত সব বয়সের মহিলার কাছেই উন্মুক্ত শবরীমালা! স্বাগত জানালেন আন্দোলনকারীরা
আপাতত সব বয়সের মহিলার কাছেই উন্মুক্ত থাকছে শবরীমালা। সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ মামলাটিকে সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।
আপাতত সব বয়সের মহিলার কাছেই উন্মুক্ত থাকছে শবরীমালা। সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ মামলাটিকে সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন, পুনে ভিত্তিক মহিলা সংগঠনের নেত্রী ত্রুপ্তি দেশাই। মহিলাদের ক্ষমতায়ণে এই রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তিনি।
শবরীমালা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়
শবরীমালা মামলা পাঠিয়ে দেওয়া হল সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে। সব বয়সের মহিলাদের শবরীমালায় ঢুকতে দেওয়া নিয়ে রিভিউ পিটিশনের শুনানি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতি। যাঁদের মধ্যে ৩-২-এ বিষয়টি আরও বড় বেঞ্চে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি-সহ তিনজনের সিদ্ধান্ত বড় সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর। অপর দুজন বিচারপতি আগের নির্দেশ বহাল রাখতে চেয়েছিলেন। নতুন রায় না আসা পর্যন্ত আগের রায়ই বহাল থাকবে।
১৯৯০ থেকে মামলার শুরু
১৯৯০ সালে কেরল হাইকোর্টে শবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ১৯৯১ সালে কেরল হাইকোর্ট শবরীমালায় প্রবেশে মহিলাদের বয়সের সীমা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখে।
২০০৬ সালে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে
২০০৬ সালে ইন্ডিয়ান ইয়ং ল-ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন নামক সংগঠনের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে ১০ থেকে ৫০ বছর মহিলাদের শবরীমালায় ঢুকতে দেওয়া নিয়ে আবেদন দাখিল করা হয়। দুবছর পর ২-০০৮-এ মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের বেঞ্চের কাছে পাঠানো হয়।
২০১৬-তে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রষ্ন করা হয়। সংবিধানেপর আওতায় এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। ওই বছরের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ সরকার জানায়, তারা শবরীমালার ভক্তদের অধিকার রক্ষা করতে বদ্ধ পরিকর। এই বছরের নভেম্বরে সরকার জানায় তারা শবরীমালায় মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি দিতে চায়। ২০১৭-তে মামলাটি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
২০১৮-তে সুপ্রিম কোর্টের রায়
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক রায়ে বলেছিল শবরীমালায় ঢুকতে পারবেন। সব বয়সের মহিলারা। দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের ওপর মন্দিরে ঢোকা নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ৪-১-এ রায় দিয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিচিশন
বিভিন্ন সংগঠনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়। এদিন সেই রিভিউ পিটিশনের রায় সামনে আসে। জানা যায়, মামলার শুনানিতে থাকা পাঁচ বিচারপতির মধ্যে তিনজন মামলাটি আরও বড় কোনও বেঞ্চে পাঠাতে চান। আর বাকি দুজন চেয়েছিলেন আগের রায় বহাল রাখতে। সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে তাই মামলাটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে। তবে এই মামলায় ২০১৮-র সেপ্টেম্বরে দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
'আমরা সুপ্রিমকোর্টের উপর গর্বিত', শবরীমালা রায়ের পর মন্তব্য মামলাকারী রাহুল ঈশ্বরের
শবরীমালা নিয়ে রায়! মামলা গেল ৭ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে