গুজরাত নির্বাচনে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে আপ! কী বলছে সমীক্ষা
গুজরাত নির্বাচনে বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে আপ! কী বলছে সমীক্ষা
বৃহস্পতিবার গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। গুজরাতে ১ ও ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে ৮ ডিসেম্বর গুজরাতের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। গুজরাতের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সারা দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য। পাশাপাশি বিজপির সঙ্গে চলতি নির্বাচনে আপ ও কংগ্রেস জোর প্রচার চালিয়েছে। এবিপি-সিভোটারের সমীক্ষার নিরিখে সপ্তমবারের জন্য গুজরাতে বিজেপির সরকার গঠনের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
সমীক্ষায় কত শতাংশ ভোট পাবে রাজনৈতিক দলগুলো
এবিপি-সিভোটারের সমীক্ষায় আশা করা হচ্ছে বিজেপি ৪৫.৪ শতাংশ ভোট পাবে। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের থেকে ৩.৭ শতাংশ কম। অন্যদিকে, কংগ্রেস পাবে ২৯.১ শতাংশ। রাজ্যের আগের বিধানসভা নির্বাচন থেকে ১২.৪ শতাংশ বেশি ভোট পাবে। এবিপি-সিভোটারের সমীক্ষা অনুসারে আপ ২০.২ শতাংশ ভোট পাবে। ২০১৭ সালে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে ৩০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল আপ। কিন্তু একটি আসনও জয় করতে পারেনি।
আসন হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বিজেপি
২০২২ সালের গুজরাত নির্বাচনের ঠিক একমাস বাকি। এই পরিস্থিতি গুজরাতে এবিপি-সিভোটারের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিজেপি খুব সহজেই তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারবে। বিজেপি ১৩১-১৩৯টি আসন পাবে। তবে গুজরাত নির্বাচনে আগের বারের থেকে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কিছুটা কমে যাবে। কংগ্রেস গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে ৩১ থেকে ৩৯টি আসন পাবে। আপ সেখানে পেতে পারে ৭থেকে ১৫টি আসন।
বিজেপি সরকারের ওপর অসন্তোষ
গুজরাতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও রাজ্যের মধ্যে সরকারের ওপর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গুজরাতের ৪৩ শতাংশ মানুষ বিজেপি সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ। তাঁরা সরকারের পরিবর্তন চান। অন্যদিকে, আপ তাদের নির্বাচনে বার বার দিল্লি মডেল তুলে ধরছে। দিল্লির স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থা ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় প্রশংসিত হয়েছে। মোরবি সেতু ভাঙার পরে গুজরাতের মানুষের রাজ্য সরকারের ওপর অসন্তোষ আরও খানিকটা বেড়েছে। পাশাপাশি বিরোধীরা মোরবি সেতু দুর্ঘটনাকে হাতিয়ার করে গুজরাতের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আসছে। এই পরিস্থিতি গুজরাত নির্বাচন যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ।
গুজরাতের সাধারণ মানুষের চাহিদা
এবিপি-সিভোটারের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গুজরাতের ৩৩ শতাংশ মানুষ রাজ্যের বেকারত্বকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। অন্যদিকে, ১৮ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, গুজরাতের পরবর্তী সরকারের বিদ্যৎ, জল ও রাস্তার দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। ১৫ শতাংশ মানুষ গুজরাতে কৃষকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছেন। ১৯ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, ধর্মীয় মেরকরণ ঠিক করবে রাজ্যে কোন রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করবে।
বিজেপি সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের অসন্তোষ, সমীক্ষায় গুজরাত নির্বাচনে এগিয়ে কোন দল