এবার ড্রাইভিং লাইসেন্স বৈধ হোক ডিজিটাল ফর্ম্যাটে, রাজ্যগুলিকে পরামর্শ কেন্দ্রের
ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ও অন্য গাড়ি সংক্রান্ত কাগজপত্র 'ইলেকট্রনিক ফর্ম'-এ গ্রহণ করতে রাজ্যগুলিকে পরামর্শ করল কেন্দ্র সরকার।
ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ও অন্য গাড়ি সংক্রান্ত কাগজপত্র 'ইলেকট্রনিক ফর্ম'-এ গ্রহণ করতে রাজ্যগুলিকে পরামর্শ করল কেন্দ্র সরকার।
ডিজিলকার বা এমপরিবহণের মাধ্যমে তা ডিজিটাল উপায়ে দেওয়া হলে তা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ই-চালান সিস্টেমের মাধ্যমে কোনও কাগজ বাজেয়াপ্ত হলে তাও দেখানো হবে। কেন্দ্রের সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রক রাজ্যগুলির জন্য একটি অ্যাডভাইসরি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৮৮ সালের মোটর ভেহিক্যালস আইন মোতাবেক ডিজিলকার বা এমপরিবহণ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে গাড়ির কাগজপত্র দেওয়া হলে তা বৈধ। সেটিকে সমান বৈধতা দেওয়া উচিত।
ঘটনা হল, বহুদিন ধরেই সরকারের কাছে অভিযোগ আসছিল, আরটিআইয়ের মাধ্যমেও অনেকে জানিয়েছেন যে ডিজিলকার বা এমপরিবহণ অ্যাপে ডকুমেন্ট পাওয়া গেলেও তা বৈধ বলে গ্রহণ করা হচ্ছে না। ট্রাফিক পুলিশ বা মোটর ভেহিক্যালস দফতর তাকে মান্যতা দিচ্ছে না।
এই ডিজিলকার বা এমপরিবহণ হল যথাক্রমে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের প্ল্যাটফর্ম। সেখানে নাগরিকরা ড্রাইভিং লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট রাখা যায়। এছাড়া অন্য সার্টিফিকেটও রাখা যায়। ফলে কেউ এই দুই জায়গায় কাগজ ডিজিটাল ফর্ম্যাটে রাখলে ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন মোতাবেক তা বৈধ বলেই ধরতে হবে।
মোদ্দা কথা হল, ১৯৮৮ সালের মোটর ভেহিক্যালস আইন হোক অথবা ১৯৮৯ সালের কেন্দ্রীয় মোটর ভেহিক্যালস আইন- গাড়ির মালিককে কাগজ দেখাত হবে। সেটা কোন ফর্ম্যাটে তা বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়। কেন্দ্রের পরামর্শে বলা হয়েছে, নতুন গাড়ির ইনস্যুরেন্স বা পুনর্ননীকরণ করা কাগজও ইনস্যুরেন্স ইনফরমেশন বোর্ড ও বাহন ডেটাবেসে রোজ তুলে দেওয়া হয়। এবং তা এম পরিবহণ বা ই-চালানে দেখা যায়। ফলে তার বৈধতা স্বীকার করা উচিত।