জেএনইউ-র হিংসার ঘটনা বামপন্থীদের ঘাড়ে চাপাতে গিয়ে মুখ পুড়ল এবভিপি-র
জেএনইউ-তে পাঁচ জানুয়ারি হওয়া হিংসার ঘটনায় বামপন্থীরা জড়িত আছে এমন অভিযোগ তুলে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই ভিডিওটি আবার জেএনইউ-র উপাচার্য নিজেও রিটুইট করেছিলেন। তবে বামপন্থীদের ঘাড়ে দোষ চাপাতে গিয়ে ভিডিও প্রকাশ করতে গিয়ে নিজেদেরই মুখ পুড়ল আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন এবিভিপির।
|
হিংসার ঘটনায় জড়িতদের বামপন্থী বলে দাবি করা হয়
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একটি যুবক লাল জ্যাকেট পরে অপর একটি যুবক সবুজ জ্যাকেট পরে। এরা হিংসা ছড়াচ্ছে ক্যাম্পাসে। এই ভিডিওটিকে অনেকেই পোস্ট করে দাবি করেন যে হিংসা ছড়ানো ছাত্ররা নাকি আদতে বামপন্থী সংগঠনের সদস্য। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে জানা যায় যে দুই জনেই আসলে এবিভিপির সদস্য।
ভিডিও টুইট করেন বিজেপির বেশ কয়েকজন
প্রসার ভারতী প্রথম ভিডিওটি টুইট করে, পরে তা টুইট করে বিজেপি নেতা চেতন ব্রগতা থেকে শুরু করে বিজেপির জাতীয় আই সেলের প্রধান অমিত মালভিয়া, বিজেপির মুখপাত্র সুরেশ নাকুহা। এরা সকলেই হিংসা ছড়ানো দুই যুবককে বামপন্থী হিসাবে চিহ্নিত করে। এবং বলে এই ঘটনাই ক্যাম্পাসে হিংসার সূত্রপাত।
আসল তথ্য সামনে আসে
পরে জানা যায় লাল জ্যাকেটে থাকা ছেলেটি পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক বিভাগের গবেষণার তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তথা এবিভিপি সদস্য শরবেন্দর কুমার। এবং তিনি যাকে মারছেন বলে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তিনি বিবেক পান্ডে নামক তার এক শহপাঠী।
এই বিষয়ে এবিভিপি কিছু জানে না বলে দাবি
এই বিষয়ে জেএনইউ-র এবিভিপি ইউনিটের সভাপতি দূর্গেশ কুমার দাবি করেন কোনও ভাবেই কোনও হিংসার ঘটনায় এবিভিপি জড়িত নয়। তবে তাকে ভিডিওটি দেখিয়ে ফের জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, শরবেন্দর এবিভিপিরই সদস্য, তবে তিনি কেন কাউকে মারছেন তা তাঁর জানা নেই।