অক্ষত অবস্থীকে সংগঠনের সদস্য হিসাবে মানতে নারাজ জেএনইউ হিংসা থেকে নাম ঝাড়তে মরিয়া এবিভিপি
৫ দিনে পুলিশ জেএনইউ-তে হামলার ঘটনায় কোনও গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে বৃহস্পতিবার এই ঘটান সঙ্গে জড়িত ১০ জনকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখএ চিহ্নিত করেছে বলে জানায় দিল্লি পুলিশ। সেই চিহ্নিত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষও। তবে এরপরেই সংবাদমাধ্যমের একটি স্টিং অপারেশন ভিডিও প্রকাশে স্পষ্ট হয় হিংসার ঘটনায় এবিভিপি যোগের। অবশ্য এরপরেই জড়িতদের সঙ্গে এবিভিপির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করে সব দায় ঝেড়ে ফেলতে তৎপর হয় এবিভিপি।
হিংসায় জড়িত অক্ষত অবস্থী এবিভিপি-র সদস্য
সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের তরফে দাবি করা হয়, ৫ জানুয়ারি হিংসা নিয়ে সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেই এর হামলাকারীকে ক্যামেরার সামনে পেয়ে যায় তারা। সেই হামলাকারী স্বীকার করেছে ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে ছাড়াও ভিতর থেকেও হামলার জন্য লোক জোগার করা হয়েছিল। এদিকে হিংসায় জড়িতদের মধ্যে ছিল জেএনইউ-এর ফ্রেঞ্চ ডিগ্রি প্রোগ্রামের ছাত্র অক্ষত অবস্থী। নিজেকে এবিভিপির সক্রিয় কর্মী বলেও দাবি করেছে সে। সে ক্যাম্পাসে কাবেরি হস্টেলে থাকে।
দাবি নাকচ এবিভিপি-র
এরপরেই এই নিয়ে এবিভিপি-কে জিজ্ঞাসা করা হলে তাদের দাবি, 'আপনারা যেই ছাত্রের কথা বলছেন, সে এবিভিপির সদস্য নয়। এরকম যেকোনও ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তার গায়ে এবভিপি ট্যাগ লাগিয়ে দিয়ে বলা যে, হিংসায় এবিভিপি জড়িত, এটা ভুল। এটা করা উচিত নয়।'
সংবাদসংস্থাকে তোপ এবিভিপির
এরপর এবিভিপির তরফে স্টিং অপারেশনের জন্যে ইন্ডিয়া টুডেকে তোপ দেগে টুইটও করা হয়। তাতে বলা হয়, 'অক্ষত অবস্থী আমাদের সংগঠনের কোনও অফিস বিয়ারার নয়। সে আমাদের কোনও সাধআরণ কার্যকর্তাও নয়। এটা জেএনইউতে বামপন্থীদের হিংসা থেকে চোখ ঘোরানোর একটি প্রচেষ্টা।'
এর আগেও হিংসায় এবিভিপির যোগ সামনে আসে
অবশ্য এবিভিপি হিংসায় তাদের যোগ অস্বীকার করলেও এর আগেও একটি ভিডিও সামনে আসে যাতে দেখা যআয় এক এবিভিপি কর্মী একজন ছাত্রের উপর চড়াও হয়েছে। প্রসার ভারতীর সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একটি যুবক লাল জ্যাকেট পরে থাকা একজন বিবেক পান্ডে নামক এক ছআত্রকে মারছেন। পরে জানা যায় লাল জ্যাকেটে থাকা ছেলেটি পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক বিভাগের গবেষণার তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তথা এবিভিপি সদস্য শরবেন্দর কুমার।
কী বলেন অক্ষত অবস্থী
এদিকে হামলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অক্ষত জানিয়েছিল, হামলার সময় হেলমেটে ঢাকা ছিল তার মুখ। হাতে ছিল লাঠি। ভিডিও দেখিয়ে অবস্থী বলে, সেখানে হস্টেলের করিডরে দেখা গিয়েছে তাকে। সামনে যেই পড়েছে, তাকেই সে মেরেছে বলে দাবি করেছে। হাতে তার কি ছিল। প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছে, লাঠি। পেরিয়ার হস্টেলের কাছে একটা পতাকা থেকে সে লাঠিটা খুলে নিয়েছিল বলে জানিয়েছে। কাকে আঘাত করেছে সে। প্রশ্নেক উত্তরে জানিয়েছে, কাশ্মীরিদের মতো দেখতে একজনকে। তাকে মারার পর গেটও ভেঙেছে সে। বলেছে অক্ষত অবস্থী। নিজের প্রসঙ্গে সে বলেছে, কানপুরের যে এলাকায় সে থাকে, সেখানে প্রতিটা রাস্তায় গুন্ডাদের দেখা যায়। তাদের দেখেই সে শিখিছে।