মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় যাবজীব্বন সাজা আবু সালেমের, ফাঁসি তাহির ও ফিরোজকে
মুম্বইয়ের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় আবু সালেম ও করিমুল্লাহ খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল টাডা আদালত।
মুম্বইয়ের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় আবু সালেম ও করিমুল্লাহ খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল টাডা আদালত। এর ফলে দু'জনকেই ২৫ বছরের জন্এয জেলে থাকতে হবে। একইসঙ্গে আবু সালেম ও করিমুল্লাহকে ২ লক্ষ টাকা করে জরিমানারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু পর্তুগাল থেকে এদেশে প্রত্যর্পণের সময়ে বলা হয়েছিল যে আবু সালেমকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না, সেহেতু মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছে আদালত।
[আরও পড়ুন:কেন চাইলেও আবু সালেমকে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারল না টাডা আদালত]
১২ মার্চ ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয়। মোট ২৫৭ জন মারা যান ও ৭০০ জন আহত হন। এই ঘটনার মূল চক্রী দাউদ ইব্রাহিমকে এখনও ধরা যায়নি। সে পলাতক। তবে অন্যতম চক্রী আবু সালেমকে পর্তুগাল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
[আরও পড়ুন:সাজা ঘোষণার সময়ে আদালতে কী করছিল আবু সালেম, কারণ জানলে অবাক হবেন]
এদিন আবু সালেমকে যাবজ্জীবন, তাহের মার্চেন্টকে মৃত্যুদণ্ড, ফিরোজ খানকে মৃত্যুদণ্ড, করিমুল্লাহ খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও রিয়াজ সিদ্দিকিকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন:১৯৯৩ থেকে ২০১৭ : মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনাপঞ্জী জেনে নিন একনজরে]
কেন আবু সালেমেরও ফাঁসির সাজা না দিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে তার পিছনে কারণ হল, ২০০৫ সালে পর্তুগাল থেকে আবু সালেমকে গ্রেফতার করে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী এদেশে আনা হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী লিসবন আদালতের শর্ত ছিল যে আবু সালেমকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না। সেই নিয়মের জেরেই আবু সালেমকে ফাঁসির সাজা শোনানো গেল না।
[আরও পড়ুন:মুম্বইয়ের কোন কোন জায়গা কেঁপে উঠেছিল ১৯৯৩ সালের বিস্ফোরণে, জেনে নিন ফ্ল্যাশব্যাকে]