বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা, জঙ্গিরা যোগাযোগ রাখছে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে
বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা, জঙ্গিরা যোগাযোগ রাখছে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে
জম্মু–কাশ্মীরে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু তা সত্ত্বেও জঙ্গিরা একে–অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য স্যাটেলাইট ফোনকে কাজে লাগালো। চরমপন্থীরা ঠিক কোন জায়গা থেকে এই স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে তা খুঁজে বের করা একটু কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে সুরক্ষা বাহিনীর কাছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রি–পেইড মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার জন্য জঙ্গিরা গোটা সীমান্ত জুড়ে তাদের সঙ্গীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে। বিশেষ সূত্রের খবর, 'এর আগে জঙ্গিরা প্রি–পেইড সিম অথবা ভিওআইপি কলের মাধ্যমে একে–অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। কিন্তু প্রায় চারমাস হল উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে, তাই জঙ্গিদের মধ্যে স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহারের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে।’ নভেম্বরের গোড়ার দিকে জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ উত্তর কাশ্মীরের দু’টি এনকাউন্টারের জায়গা থেকে স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, '৫ আগস্টের পর থেকে জম্মু–কাশ্মীরে জঙ্গি উপদ্রব হ্রাস পেয়েছে। তবে কাশ্মীরের অশান্তকর পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে জঙ্গিরা ফের দলবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও বর্তমানে স্থানীয়দের নিয়োগ বন্ধ রয়েছে, কিন্তু আগস্টের পর থেকে জম্মু–কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ বেড়ে গিয়েছে।’
ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে জম্মু–কাশ্মীরে সক্রিয় জঙ্গি রয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ জন। শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক জানান, কাশ্মীরে অশান্ত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে জঙ্গিরা শ্রীনগর শহরে প্রবেশের চেষ্টা করছে, সাধারণত জঙ্গিরা এই রাস্তা দিয়েই ঢোকার চেষ্টা করে, কিন্তু নিরাপত্তা জোরদার হওয়ায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে জঙ্গিদের। শ্রীনগর শহরে আচমকাই সুরক্ষা বাহিনী বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা বেশ কিছু সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুমান, শ্রীনগরে অর্ধেকেরও বেশি সক্রিয় জঙ্গি রয়েছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই শহরে বেশ কিছু গ্রেনেড হামলা হয়েছে, যেখানে কমপক্ষে ১০০ জন সাধারণ নাগরিক এবং কিছু সুরক্ষা বাহিনীর কর্মী আহত হয়েছেন।