'স্বাস্থ্য' ফেরাতে স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্প! এখনও নির্দিষ্ট লক্ষে পৌঁছতে পারেনি বিএসএনএল
৪ নভেম্বর স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ। এখনও পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৭৫ হাজার কর্মী স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন।
৪ নভেম্বর স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ। এখনও পর্যন্ত প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৭৫ হাজার কর্মী স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন। এই প্রকল্পে আবেদনের সময়সীমা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্পে ১ লক্ষ কর্মী আবেদন জানাতে পারবেন। বর্তমানে বিএসএনএল-এর কর্মী সংখ্যা দেড় লক্ষের মতো। অপর সংস্থা এমটিএনএল-এও স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্প চালু করা হয়েছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, এমটিএনএলকে বিএসএনএল-এর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হবে।
স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্প চালু হবে ৩১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে
বিএসএনএল-এর চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টবর পিকে পুরওয়ার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভিআরএস প্রকল্পে আবেদন করেছেন ৭৫ হাজার কর্মী। ২০২০-র ৩১ জানুয়ারি থেকে স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্প চালু হয়ে যাবে।
বিএসএনএল-এর স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্প
বিএসএনএল-এর স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্পে স্থায়ী কর্মীরা যাঁদের বয়স ৫০ হয়ে গিয়েছে, তাঁরা আবেদন জানাতে পারবেন। যাঁরা অন্য সংস্থায় ডেপুটেশনে গিয়েছেন, কিংবা ডেপুটেশনে এসেছেন তাঁরাও আবেদন জানাতে পারবেন। কর্মীরা হাতে পাবেন, যত বছর কাজ করেছেন, তত বছরে প্রতিবছর ৩৫ দিনের বেতন এবং যত বছর বাকি আছে, তত বছরে প্রতিবছর ২৫ দিনের বেতন।
মাসে বাঁচবে ৭ হাজার কোটি
যদি ৭০ তেকে ৮০ হাজার কর্মী স্বেচ্ছা অবসরের জন্য আবেদন করেন, তাহলে মাসে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা বাঁচবে বিএসএনএল-এর।
সরকারি সাহায্য
সরকার ফোরজি স্পেকট্রামের জন্যয় বিএসএনএলকে ২০,১৪০ কোটি টাকা দেবে। ৩৬৭৪ কোটি টাকা দেবে জিএসটি মেটাতে। এছাড়াও সরকার ১৭১৬০ কোটি টাকা দেবে স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্পের জন্য। পাশাপাশি ১২,৭৬৮ কোটি টাকা দেবে অবসরকালীন সুবিধা হিসেবে।