হজযাত্রীদের জন্য ভর্তুকি তুলে দেওয়া হোক, কেন্দ্রকে প্রস্তাব কমিটির
হজযাত্রীদের জন্য দেওয়া ভর্তুকি তুলে নেওয়া হোক। ৪৫ ওপর মহিলাদের জন্য কমপক্ষে ৪ জনের দল গঠন করা হোক। সূত্রের খবর, হজযাত্রা নিয়ে এমনই সব প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা দিয়েছে কেন্দ্রেরই নির্ধারিত কমিটি
হজযাত্রীদের জন্য দেওয়া ভর্তুকি তুলে নেওয়া হোক। ৪৫ ওপর মহিলাদের জন্য কমপক্ষে ৪ জনের দল গঠন করা হোক। সূত্রের খবর, হজযাত্রা নিয়ে এমনই সব প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা দিয়েছে কেন্দ্রেরই নির্ধারিত কমিটি।
কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ২০১৮-২২-এর জন্য হজ নীতি তৈরির শীর্ষে রয়েছেন প্রাক্তন আমলা আফজল আমানুল্লা। বিভিন্ন প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, অভিযান পয়েন্ট কমানোর প্রস্তাবও। বর্তমানে সৌদি আরব যেতে গেলে দেশে ২১টি জায়গা থেকে বিমান ধরার সুবিধা রয়েছে। তা কমিয়ে ৯ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভির কাছে এই রিপোর্ট জমা পড়েছে।
নাকভি জানিয়েছেন, ২০১৮-র হজযাত্রা নতুন হজনীতির ওপর ভিত্তি করেই হবে। নতুন নীতিতে অনেক সুবিধা রয়েছে। এই নীতি স্বচ্ছ এবং মানব-বান্ধব বলেও দাবি করেছেন তিনি। এই নীতির মাধ্যমে হজ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
হজযাত্রা নিয়ে ২০১২ সালে একটি নির্দেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাতে বলা হয়েছিল ২০২২ সালে মধ্যে হজের জন্য যে ভর্তুকি দেওয়া হয়, তা তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
নতুন হজ নীতিতে ভর্তুকি তুলে দেওয়া ছাড়াও, অপর একটি বড় সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। ৪৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের ৪ জনের দলে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত মহিলারা পুরুষ মেহরাম ছাড়া হজে যেতে পারেন না ( মেহরামের অর্থ বাবা, ভাই কিংবা পুত্র)। নতুন হজ নীতিতে অবশ্য ৪৫ বছরের নিচের মহিলাদের পুরুষ মেহরামকে সঙ্গী করার সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে যে ভর্তুকি এই হজযাত্রা থেকে ছাঁটাই করা হবে, তা মুসলিম মহিলাদের শিক্ষা এবং নানা কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হবে, বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।
নতুন নীতিতে হজযাত্রীদের বিমানের বদলে জাহাজে পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ অনেকটাই কমবে।
যে নটি জায়গা থেকে হজযাত্রীদের বিমানের সুবিধার কথা বলা হয়েছে, সেই শহরগুলি হল, দিল্লি, লখনৌ, কলকাতা, আহমেদাবাদ, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু এবং কোচিন। একইসঙ্গে এইসব শহরগুলিতে হজ হাউস তৈরির সুপারিশও করা হয়েছে।