অভিষেকের নজর ত্রিপুরায়, ৩১শে আগরতলার তৃণমূলের জনসভার আগে উত্তেজনা চরমে
গোয়ায় চারদিনের সফরে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যখন গোয়া সফরে ব্যস্ত তখন তাঁর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন ত্রিপুরায়।
গোয়ায় চারদিনের সফরে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যখন গোয়া সফরে ব্যস্ত তখন তাঁর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন ত্রিপুরায়। তিনি ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় জনসভা করবেন ৩১ অক্টোবর। উত্তর-পূর্বের রাজ্যে এটাই হবে তাঁর প্রথম জনসভা।
অভিষেকের সভা এবং কর্মসূচি বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে ত্রিপুরায়। এর আগে অভিষেক আগরতলায় ব়্যালি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার অনুমোদন মেলেনি। আদালতের দরজাতে গিয়েই ফিরে আসতে হয়েছে তৃণমূলকে। এবার আগরতলায় জনসভার ডাকি দিল তৃণমূল। সেই জনসভায় প্রধান বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে উত্তেজনা ছড়াল আগলতলায়। মঙ্গলবার ফের আটকে দেওয়া হল দলীয় নেতা-কর্মীদের। তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। অমরপুরের নতুন বাজারে তৃণমূলের সভা বানচালের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল অভিযোগ করেছে, সভাস্থল তেকে ২ কিলোমিটার দূরে ত্রিপুরা তৃণমূলের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক ও বঙ্গ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে আটকে দেওয়া হয়।
তৃণমূলের দাবি, পুলিশের অনুমতি নিয়ে সভা হচ্ছিল। তা সত্ত্বেএ বিজেপির দুষ্কৃতী ও পুলিশ মিলে তৃণমূলের প্রচারের গাড়ি ভাঙচুর করে। আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরা পুরনিগম ও নগর পঞ্চায়েতের ভোট। এবার এই নির্বাচনে প্রথমবার লড়াই করছে তৃণমূল। তার প্রস্তুতি, প্রচার ও প্রার্থী বাছাইয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তার আগেই তৃণমূলকে বাধাদান শুরু হয়ে গিয়েছে।
ত্রিপুরায় এদিন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূল বিক্ষোভ সমাবেশ করে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কেন্দ্রে একটি পেট্রল পাম্পে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। কুণাল ঘোষ ছাড়াও এই বিক্ষোভ সমাবেশে ছিলেন ত্রিপুরা তৃণমূলের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক। তারপরই তাঁরা অমরপুরের সভায় আসছিলেন। সেখানে তাদের পথ আটকানো হয়। এরপর ৩১ অক্টোবর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন আগরতলার সভায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে আরও উত্তেজনা বাড়বে ত্রিপুরায়।
তৃণমূল এবার ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে। বাংলায় নির্বাচনে জেতার পর ত্রিপুরা থেকে বিজেপি সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে ত্রিপুরায় সাংগঠনিক বিস্তারে জোর দেওয়া হয়েছে। ২০২৩-এ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে সামনের নভেম্বরেই পুরসভার ভোট। এই ভোটে অংশ নিয়ে শক্তিপরীক্ষা করে নিতে চাইছে তৃণমূল। কে হবে বিজেপরি মূল প্রতিপক্ষ তাও নির্ধারণ করে দেবে এই পুরসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলের প্রচারকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গেল অশান্তি, উত্তেজনা।