ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল, আগরতলায় পা রেখেই বিপ্লবদেবকে নিশানা করে টুইটে কী লিখলেন অভিষেক?
ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল, আগরতলায় পা রেখেই বিপ্লবদেবকে নিশানা করে টুইটে কী লিখলেন অভিষেক?
অভিষের
ত্রিপুরায়
পা
রাখার
আগেই
তুলকালাম
কাণ্ড।
দলীয়
পতাকা
লাগাতে
গিয়ে
আক্রান্ত
তৃণমূল
যুব
কংগ্রেস
নেতা
দেবাংশু
সহ
একাধিক
নেতা
কর্মী।
তারপরেই
আগরতলায়
পা
রেখেই
ত্রিপুরার
মুখ্যমন্ত্রী
বিপ্লব
দেবকে
টুইটে
নিশানা
করেছে
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইটে
তিনি
লিখেছেন
ত্রিপুরায়
বিজেপির
শাসনে
গণতন্ত্র।
খুব
ভাল
করেছেন
বিপ্লব
দেব
রাজ্যকে
একটা
নতুন
উচ্চতায়
নিয়ে
গিয়েছেন।
ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল
গত কয়েকদিন ধরেই ত্রিপুরায় চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের কর্মীদের আটক করা থেকেই শুরু হয় উত্তেজনা। সেই রেশ এসে পড়েছে অভিষেকের সফরের দিনেও। গতকাল রাতেই ত্রিপুরার একাধিক জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। পরের দিন সকালে নতুন করে পতাকা লাগাতে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা দেবাংশু, জয়া দত্ত সহ একাধিক নেতা কর্মী। ফেসবুক লাইভ করে নিজেদের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের যুব কংগ্রেস নেতা দেবাংশু। তারপরেই উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে ত্রিপুরায়।
অভিষেকের টুইট
পূর্ব নির্ধারিত সময়েই আগরতলা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বিমানবন্দরে নিতে হাজির হয়েছিলেন ত্রিপুরার একাধিক প্রথম সারির নেতা। অভিষেককে স্বাগত জানাতে ত্রিপুরার তৃণমূল কর্মীরা রাস্তার দুই ধারে পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারপরেই অভিষেক জানতে পারেন দেবাংশুদের আক্রান্ত হওয়ার খবর। সেই খবর জানার পরেই টুইটে বিব্লবদেবকে নিশানা করেছেন তিনি। টুইটে অভিষেক লিখেছেন ত্রিপুরায় গণতন্ত্র এখন বিজেপির শাসনে। একটা দারুন উচ্চতায় রাজ্যকে নিয়ে গিয়েছে বিপ্লব দেব। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিপ্লব দেবকে তুরুপের তাস করেই মানিক সরকারের পতন ঘটিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু গত কয়েক বছরে ত্রিপুরায় পয়েন্ট ক্রমশ কমেছে বিজেপির। ত্রিপুরার স্বার্থে তৃণমূলকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন মানিক সরকারও।
তৃণমূলের টার্গেট ত্রিপুরা
বাংলা জয়ের পর ধীরে ধীরে বাইরের রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেকারণেই এবার ২১ জুলাইয়ের শহিদ স্মরণ গোটা দেশে হয়েছে। মোদীর গুজরাত থেকে ত্রিপুরা সর্বত্র বড় করে হয়েছে ২১ জুলাই উদযাপন। সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূলের বার্তা পৌঁছে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে হিন্দি এবং ইংরেজিতে বার্তা দিয়েছেন। সেই মঞ্চেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছিলেন এবার অন্য রাজ্যে তৃণমূল পা রাখবে সেই রাজ্য জয় করার জন্য বিরোধী হিসেবে থাকার জন্য নয়। তৃণমূলের সেই টার্গেটে প্রথমে আসে ত্রিপুরা। ত্রিপুরায় আগে থেকেই সংগঠন বাড়াতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মুকুল বিজেপিতে যোদ দেওয়ায় সেই কাজ কিছুটা থমকে গিয়েছিল। ফের মুকুলের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসা নতুন করে ত্রিপুরার সংগঠন চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। ত্রিপুরায় মুকুল ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতারাও তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেটা সত্যি হলে অনেকটাই শক্তিহারাবে বিজেপি।
পিকের কৌশল
অভিষেক যাওয়ার আগেই প্রশান্ত কিশোরের টিম সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল। আইপ্যাকের ২৩ জন সদস্যকে আটক করে হোটেল বন্দি করে রেখেছিল ত্রিপুরা সরকার। অভিযোগ ছিল করোনা বিধি লঙ্ঘন করেছেন তাঁরা। কিন্তু বিপ্লব দেবের সেই দাবি ধোপে টেকেনি। তিনদিন পরে আই প্যাকের সদস্যদের ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। সেখানে তড়িঘড়ি পৌঁছে গিয়েছিলেন ডেরেক ওব্রায়েন, ব্রাত্য বসু, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা। তাঁদের বৈঠক ভন্ডুল করারও চেষ্টা চালিয়েছে বিপ্লব দেব সরকার। কিন্তু কতটা তিনি সফল হয়েছেন সেটা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। তবে তৃণমূলের হঠাৎ করে ত্রিপুরা নিয়ে বেশি মাথা ঘামানোয় বিজেপি যে বেশ ফাঁপড়ে পড়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। অভিষেকের ত্রিপুরা সফরে বড় ভাঙন বিজেপিতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই কলকাতায় এসে ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন। সেই বৈঠকে ত্রিপুরায় সাংগঠনিক রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।