নজরে শহুরে ভোটার, দিল্লির উন্নয়নকে সামনে রেখেই যোগীকে চ্যালেঞ্জ কেজরিওয়ালের
উত্তরপ্রদেশে এবার ভোটে লড়বে আম আদমি পার্টি। ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে আদ আদমি পার্টি। তবে কোন হাতিয়ারের উপর ভর করে যোগী আদিত্যনাথের একচ্ছত্র আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জবাবটা খুব সহজ, উন্নয়ন। দিল্লি মডেলকে সামনে রেখেই আদিত্যনাথকে চ্যালেঞ্জ কেজরিওয়ালের।

মহল্লা ক্লিনিক চালু
গত ৮ বছরে দিল্লিতে ৩ বার সরকার গড়েছে আপ। পঞ্জাবে প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে উঠেছে তারা। এই আবহে বিগত পাঁচ বছরে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি পালন করেছে আম আদমির সরকার৷ মহল্লা ক্লিনিক চালু করা থেকে শুরু করে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও বিশেষ ক্ষেত্রে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে কেজরিওয়াল বাধ্য করেছেন তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদে৷ রাজধানীর বুকে বিনামূল্যে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের মতো ঘটনাও ঘটেছে কেজরিওয়ালের মেয়াদকালেই৷

বিজেপি-সহ সব বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ
পাঁচ বছর আগে বিজেপি-সহ সব বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভোটে নেমেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ ৭০ আসনের বিধানসভার মধ্যে ৬৭ দখল করেছিল তারা৷ খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল বিরোধীরা৷ ক্ষমতায় আসার পরই একাধিক অভিনব পদক্ষেপ ঘোষণা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী৷

বিদ্যুৎ, জল এবং সড়ক পরিবহন
বিদ্যুৎ, জল এবং সড়ক পরিবহনের ক্ষেত্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছিলেন৷ নিখরচায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন৷ জল এবং বিদ্যুতের মতো মৌলিক চাহিদাগুলিকে প্রতিটি সাধারণ মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগই কেজরিওয়ালের জয়ের অন্যতম হাতিয়ার বলে মনে করছেন অনেকে৷

নারী নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
নারী নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ৷ রাজ্যের প্রতিটি কোণায় সিসিটিভি লাগিয়ে সুরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করেছিলেন৷ ২০১২ সালে নির্ভয়াকাণ্ডের পর রাজধানীতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, গত পাঁচ বছরে কেজরিওয়ালের মুখ্যমন্ত্রিত্বকালে সেই কলঙ্ক অনেকটাই মোছা সম্ভব হয়েছে৷

কেজরিওয়ালের আড়ম্বরহীন জীবন
সমালোচকরা বলছেন, কেজরিওয়ালের আড়ম্বরহীন জীবন, সহজ সরল বাক্যালাপ, প্রায় নিরাপত্তাহীনভাবে চলাফেরা করার এই 'আম আদমি'-র ক্যারিশ্মাই শেষ পর্যন্ত দিল্লিবাসীর মন জয় করে। এহার সেই ক্যারিশ্মাকে কাজে লাগিয়েই উত্তরপ্রদেশে আম আদমির পদ চিহ্ন রাখার চেষ্টা করছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।