আপের জাতীয় কমিটি থেকে বহিঃস্কৃত যোগেন্দ্র যাদব, প্রশান্ত ভূষণ
নয়াদিল্লি, ২৮ মার্চ : নাটক, হাঙ্গামা, তক্কাতক্কি এবং শেষে একপ্রস্থ হাতাহাতির পর আম আদমি পার্টির জাতীয় কমিটি থেকে বহিঃস্কৃত যোগেন্দ্র যাদব, প্রশান্ত ভূষণ।
যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষণের ভাগ্য নির্ধারণে আজ বৈঠকে বসে আম আদমি পার্টি। সেখানেই মোট ৩২০ জন সদস্যের মধ্যে ২০০ জন যাদবের বিপক্ষে মত দেন। অভিযােগ, ফলে ব্যালট পেপারে ভোটাভুটি আর হয়নি। বিক্ষোভের মাঝেই মুখেমুখে ভোটাভুটি করে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় বিক্ষুব্ধ যোগেন্দ্র যাদব, প্রশান্ত ভূষণকে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে বহিঃস্কৃত যোগেন্দ্র যাদব বলেন, "আপের বৈঠকে গণতন্ত্রের হত্যা করা হয়েছে।"
বৈঠকে কেজরির ভাষণের মাঝেই 'গদ্দার হটাও' স্লোগান তোলেন কেজরি ঘনিষ্ঠরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সভা। এরপর কোনও পক্ষের কথা না শুনেই যাদব ঘনিষ্ঠদের গায়ে হাত তোলা হয় বলে অভিযােগ। বের করে দেওয়া হয় সভা থেকে। তারপরই যোগেন্দ্র যাদব, প্রশান্ত ভূষণকে বহিঃস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সকালে আপের অফিসের বাইরে কেজরি ও যাদব দুই পক্ষের সমর্থকেরাই জড়ো হয়ে একে অপরের বিপক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। বৈধ অনুসতিপত্র থাকা সত্ত্বেও যাদব ঘনিষ্ঠদের ঢুকতে না দেওয়ায় আপের অফিসের বাইরেই ধরনায় বসেন যাদব, ভূষণরা। পরে অবশ্য কিছু সদস্যকে ঢুকতে দেওয়ায় বৈঠকে যোগ দেন তাঁরা।
আপের কর্মসমিতির বৈঠকের আগেই গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই তোপ দাগেন আপ নেতা যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষণ।
এরপরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বিস্ফোরক অডিও টেপ। সেখানে দেখা যায়, গত ২২ মার্চ আপ নেতা উমেশ সিংয়ের সঙ্গে যোগেন্দ্র ও প্রশান্তকে নিয়ে উত্তেজিত কথা বলছেন কেজরি। এমনকী ৬৭ জন বিধায়ককে নিয়ে আপ থেকে বেরিয়ে নতুন দল গড়ার হুমকিও দিচ্ছেন তিনি।
তার আগে দুপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মনোভাব নিয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ তোলেন আপের দুই শীর্ষ নেতা প্রশান্ত ভূষণ ও যোগেন্দ্র যাদব।
টেপ বিতর্ক সামনে আসায় নতুন করে অস্বস্তিতে পড়ে যায় আপ শিবির। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে যোগেন্দ্র ও প্রশান্ত ভূষণকে কিভাবে ছেঁটে ফেলা হবে তা ঠিক করতে গতকাল রাতে কেজরির বাড়িতে বৈঠকে বসেন মণীশ সিসোডিয়া, গোপাল রাই, সঞ্জয় সিংহের মতো কেজরি শিবিরের নেতারা।