ফের ভোটে লড়ব, তবু বিজেপি-র সঙ্গে জোট নয়: আপ
৭০ আসনবিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় সরকার গড়তে গেলে দরকার ৩৬টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ৩২টি। আমআদমি পার্টি (আপ) পেয়েছে ২৮টি ও কংগ্রেস পেয়েছে ৮টি আসন। বাকি দু'টি আসনের একটিতে জিতেছেন এক নির্দল প্রার্থী, অপরটি পেয়েছে সংযুক্ত জনতা দল।
এখন বিজেপি-র সামনে যে সমস্যাগুলি রয়েছে, তা হল: ১) নির্দল বিধায়ক ও সংযুক্ত জনতা দলের বিধায়ককে সঙ্গে নিলেও ৩৪টি আসন হচ্ছে বিজেপি-র। এরপরও দু'জন বিধায়কের সমর্থন দরকার। এটা আসবে কোথা থেকে; ২) কংগ্রেস থেকে চারজনকে ভাঙিয়ে আনা যায়। কিন্তু, দলত্যাগ-বিরোধী আইন অনুসারে, অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়ককে কোনও দল ভেঙে বেরিয়ে আসতে হবে। নইলে দল ছেড়ে বেরিয়ে আসা অল্প সংখ্যক বিধায়করা সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় পড়ে পদ খোয়াবেন। এক ধাক্কায় ছ'জন কংগ্রেস বিধায়ককে ভাঙানো একদমই সোজা নয়। এটা করলে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠবে বিজেপি-র বিরুদ্ধে, যা আখেরে তাদের ভাবমূর্তি মলিন করবে। ৩) আমআদমি পার্টি থেকে বিধায়ক ভাঙালেও সেই একই ধরনের সমস্যা হবে। দলত্যাগ-বিরোধী আইনের গেরোয় পড়ে সংশ্লিষ্ট বিধায়করা পদ খোয়াতে পারেন।
বিজেপি নেতাদের একাংশের বক্তব্য, উপরাজ্যপাল তাদের সরকার গড়তে আহ্বান জানালে বিনীতভাবে তা প্রত্যাখ্যান করা হোক। তাতে বরং জনসমক্ষে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। তা ছাড়া, মানুষকে এটা বোঝানো যাবে যে, আমআদমি পার্টি চাইলে জোট সরকার গড়া যেত। তাদের জন্যই আবার ভোট হচ্ছে এবং মানুষের ওপর খরচের বোঝা চাপছে। এই মতের সমর্থক বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হর্ষবর্ধন। নরেন্দ্র মোদীও এই পথে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একনিষ্ঠ সমর্থক তথা প্রাক্তন আইপিএস কিরণ বেদী অবশ্য বলেছেন, আমআদমি পার্টির উচিত বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করা। এখনই ভোট হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য তাঁর। যদিও এই পরামর্শ গৃহীত হয়নি। দলের অন্যতম নেতা যোগেন্দ্র যাদব বলেছেন, "আমরা আবার ভোটে লড়তে রাজি। কিন্তু, বিজেপি-র সঙ্গে সরকারে কিছুতেই নয়।"
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, দিল্লিতে আপাতত কেউ সরকার গড়তে না পারলে সাংবিধানিক সঙ্কট এড়াতে সেখানে কেন্দ্রীয় শাসন জারি করা হবে। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সেক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হবে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন।