গুজরাতের একটি শ্রেণিকক্ষে পড়ুয়াদের সঙ্গে বসে রয়েছে মোদী, ছবি প্রকাশ পেতেই প্রতিক্রিয়া আপের
গুজরাতের একটি শ্রেণিকক্ষে পড়ুয়াদের সঙ্গে বসে রয়েছে মোদী, ছবি প্রকাশ পেতেই প্রতিক্রিয়া আপের
গুজরাতে সময় যত এগোচ্ছে, প্রচারের ঝাঁঝ ততো বাড়তে শুরু করেছে। গুজরাতের একটি সরকারি স্কুল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যে সরকারি স্কুলগুলোতে আধুনিকীকরণের উদ্দেশ্যে একটি প্রকল্প চালু করার অংশ ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদীর স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে বেঞ্চে বসার ছবি ভাইরাল হয়েছে। ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে আপ। আপের তরফে জানানো হয়েছে, গুজরাতে বিকল্প হিসেবে যখন আপ উঠে আসছে, তখনই বিজেপির তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মোদীর গুজরাতের স্কুল পরিদর্শন
গান্ধীনগরের একটি অনুষ্ঠানের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে বেঞ্চে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। এরপরেই গুজরাত জুড়ে শিক্ষকদের একটি সমাবেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তৃতা দেন। সেখানে তিনি বলেন, নতুন শিক্ষানীতি দেশকে ইংরেজি ভাষাকে ঘিরে দাস মানসিকতা থেকে বের করে আনবে।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রতিক্রিয়া
প্রধানমন্ত্রীর গুজরাতের স্কুল পরিদর্শনের ছবি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান কেজরিোয়াল। তিনি টুইটে করে লেখেন, 'আমরা দিল্লিতে শিক্ষার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কাজ করেছি। পাঁচ বছরে দিল্লির সমস্ত সরকারী স্কুলগুলোকে আধুনিকীকরণ করা সম্ভব হয়েছিল। সারা দেশের স্কুলগুলো পরিস্থিতি পাঁচ বছরের মধ্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। এর জন্য আমাদের সাহায্য আপনি নিতে পারেন। দেশের স্বার্থে একসঙ্গে এই কাজটি করি।'
প্রতিক্রিয়া মনীশ সিসোদিয়া
বৃহস্পতিবার মনীশ সিসোদিয়ারও একটি ছবি টুইটারে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দিল্লির একটি স্কুলে পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি স্কুলের এক শিক্ষিকার সঙ্গে তাঁকে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্কুল পরিদর্শন প্রসঙ্গে মনীশ সিসোদিয়া বলেন, গুজরাতের মানুষের কাছে যখন আপকে বেছে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী স্কুল পরিদর্শন করছেন। তিনি বলেন, 'দেখুন আমিও স্কুল তৈরি করেছি। স্কুল তৈরি করা ভালো জিনিস। মহান কাজ। গুজরাতে বিজেপি শাসনের ২৭ বছর শেষ। মোদী তা খুব ভালো করে বুঝতে পারছেন।' মনীশ সিসোদিয়া বলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় হল এই কাজটি যদি ২৭ বছর আগে করা হতো, সেক্ষেত্রে প্রতিটি শহরের প্রতিটি শিশুই একটা ভালো স্কুল পেত। আজ যখন গুজরাতের মানুষ সরকার বদলাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, আপনি যাচ্ছেন এবং শিশুদের সঙ্গে বসে আছেন। আমরা সাত বছরে (দিল্লিতে) এই সমস্ত কাজ করতে পারি, তাহলে গুজরাটে বিজেপি শাসনের ২৭ বছরে আরও অনেক কিছু করতে পারত। কিন্তু করেনি।
গুজরাতে চাপে বিজেপি!
গুজরাট সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ১০,০০০ কোটি টাকার ব্যয়ের প্রকল্পটিতে রাজ্যে নতুন শ্রেণিকক্ষ, স্মার্ট ক্লাসরুম, কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন এবং রাজ্যের স্কুলগুলির পরিকাঠামোর সামগ্রিক উন্নতি করা হবে। শিক্ষার পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। গুজরাতে ক্রমেই প্রচারের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে আপ। গুজরাতে দ্বিতীয় শক্তিশালী দল হিসেবে আপ উঠে আসতে চাইছে। বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আপ ইতিমধ্যে দিল্লি মডেলের উদাহরণ টেনে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে জয়ী মল্লিকার্জুন খাড়গে, অবৈধ ঘোষণা ৪০০টির বেশি ভোট