প্রশান্ত ভূষণের মন্তব্যের প্রতিবাদে আপের কৌসাম্বি অফিসে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা
দলীয় সূত্রের খবর এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। হামলাকারীরা অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে প্রথমে। ইঁট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। আপের সদস্যদের লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করতে যায়। আপ নেতা দিলীপ পান্ডে জানিয়েছেন, "সময়মতো আমরা সমস্ত সদস্যদের অফিসের ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই মিলেছে।"
প্রশান্ত ভূষণ যা বলেছে তা জাতীয়তা বিরোধী : হিন্দু রক্ষক সেনা
হিন্দু রক্ষক সেনা এই ঘটনার দায়ভার শিকার করে নিয়েছে। সংস্থার কর্মী বিষ্ণু গুপ্ত জানিয়েছেন, প্রশান্ত ভূষণ একজন বিশ্বাসঘাতক। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সেনা তুলে নেওয়া নিয়ে ওর মন্তব্য জাতীয়তা বিরোধী। নেতাদের এ ধণের মন্তব্য স্বাধীনভাবে বলতে দেওয়া হলে তা দেশের অবক্ষয় করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রশান্ত ভূষণের বিতর্কিত মন্তব্যের কড়া সমালোচনা হয় বিভিন্ন মহলে। এমনকী আপের মধ্যেও মতপার্থক্য তৈরি হয়। এমনকি ওই মন্তব্যকে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রশান্ত ভূষণের একান্ত ব্যাক্তিগত চিন্তাধারা বলে ব্যাখ্যা করেন। এ বিষয়ে যা হবে আইনশৃঙ্কলা মেনই হবে। জনমতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল।
এই প্রথমবার নয় য়খন কাশ্মীর সংক্রান্ত মন্তব্য করে জনরোষের আঁচ পোয়াতে হয়েছে প্রশান্ত ভূষণকে। এর আগেও ২০১১ সালে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন অপসারণের মন্তব্য করে গণপিটুনি খেয়েছিলেন প্রশান্ত।