মোরাদাবাদের আপ প্রার্থী ১২ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি!
ব্যাঙ্কসূত্রের খবর, খালিদের সম্পত্তি ব্যাঙ্কের কাছে বন্দক রাখা ছিল। সেই সম্পত্তির নিলাম করবে ব্যাঙ্ক। এমনকী মনোনয়ন পত্রেও এই ১২ কোটি টাকার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে তাকে।
মনোনয়ন পত্রেও এই ১২ কোটি টাকার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে খালিদকে
ব্যাঙ্ক অফ বরোদার বরেলি অঞ্চলের ম্যানেজার পি জে ভালিয়া জানান, বছর দুয়েক আগে কলেজ তৈরি করার জন্য খালিদ বাদৌন শাখা থেকে ১২ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিলেন। অজ্ঞাত কারণবশত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়নি। ঋণগ্রহীতাও ঋণশোধের খেলাপ করতে শুরু করেন। আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে বিষয়টি নিয়ে খালিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করি। আমি নিজেও ফোন করে ঋণ শোধের বিষয়ে ওর কাছে জানতে চেয়ছি। ঋণ শোধ না করার ফলে দিনের পর দিন সুদের পরিমাণও বাড়তে থাকছে।
যদিও ঋণ পরিশোধ না করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আপ নেতা খালিদ পারভেজ। খালিদের অভিযোগ, ব্যাঙ্ক আগে থেকে কিছু না জানিয়েই অবাধ পদ্ধতিতে ঋণ পরিশোধের সময় এক বছর কমিয়ে দিয়েছে, যার ফলে তাঁকে কঠিন সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। তবুও ওই ঋণের বিনিময়ে যে পরিমাণ সম্পত্তি তিনি বন্দক রেখেছেন তা নিলাম করে বখেয়া টাকা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে খালিদ পারভেজের নির্বাচনে টিকিট পাওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। পারভেজকে প্রার্থী করায় চটেছিল স্থানীয় আপ নেতৃত্ব। আপের শীর্ষ নেতৃত্ব খালিদ পারভেজকে নির্বাচনের টিকিট দিলেও তাঁকে বহিরাগত হিসাবেই গণ্য করছিল স্থানীয় নেতৃত্ব। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করেই বাইরে থেকে খালিদ পারভেজকে তুলে এনে টিকিট দিয়ে দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ স্থানীয় নেতৃত্ব। এর পর আবার খালিদের ঋণ খেলাপির ঘটনা আরও এক নতুন বিতর্ককে উস্কে দিল।