‘বিধায়ক কেনার চেষ্টায় যুক্ত থাকলে অমিত শাহকে গ্রেফতার করা হোক,’ দাবি মনীশ সিসোডিয়ার
‘বিধায়ক কেনার চেষ্টায় যুক্ত থাকলে অমিত শাহকে গ্রেফতার করা হোক,’ দাবি মনীশ সিসোডিয়ার
ক্রমেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে আম আদমি পার্টির নেতারা। তেলঙ্গানায় টিআরএসের বিধায়কদের ব্যাপক অঙ্কের টাকার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে কাঠগোড়ায় তোলেন। বিধায়ক কেনার চেষ্টার অভিযোগের জন্য অমিত শাহকে গ্রেফতারির দাবি করেন মনীশ সিসোডিয়া।
মনীশ সিসোডিয়ার দাবি
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোডিয়া বলেন, এর আগে পঞ্জাব, দিল্লি সহ আটটি রাজ্যে বিজেপি বিধায়ক কেনার চেষ্টা করেছে। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন তেলেঙ্গানা। তেলেঙ্গানায় টিআরএসের বিধায়ক কেনার ঘটনায় যদি অমিত শাহ যুক্ত থাকেন তাঁকে গ্রেফতার করা হোক। বিপুল অঙ্কের টাকার টোপ দিয়ে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির চার বিধায়ককে কেনার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। তিন জনের কথপোকথেনর একটি রেকর্ডিং সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। সেখানে 'শাহজি' বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। সেই রেকডিং অনুসারে মনীশ সিসোডিয়া অনুমান করছ, শাহজি অমিত শাহকে উল্লেখ করা হয়েছে।
তেলেঙ্গানার বিধায়কদের কেনার চেষ্টা
তেলেঙ্গানায় টিআরএস বিধায়কদের কেনার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই অভিযোগে হায়দরাবাদ পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। আদালতে পুলিশি হেফাজতের দাবি করা হলেও অভিযুক্তরা জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। মনীশসি সোডিয়াবলেন, '২৭ অক্টোবর হায়দরাবাদের পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০০ কোটি টাকা সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা যায়। সেই দালালদের ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। রামচন্দ্র ভারতী, সিমাইয়া এবং নন্দ কুমার। ২৮ অক্টোবর অভিযুক্তদের সমস্ত রেকর্ডিং প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে অভিযক্তদের বলতে শোনা গিয়েছে, টিআরএসের বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।'
একই ধরনের অভিযোগ আপের
চলতি বছর অগাস্টে একই ধরনের অভিযোগ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আপের অন্যান্য নেতারা করেছিলেন। সেই সময় আপের তরফে অভিযোগ করা হয়, বিজেপি দিল্লি সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেই কারণে বিজেপি আপ বিধায়কদের কেনার চেষ্টা করছে। দিল্লি সরকারের পতনের জন্য বিজেপি আপের প্রতিটি বিধায়ককে ২০ কোটি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বলে অভিযোগ। আপের তরফে অভিযোগ করা হয়, বিজেপি বার বার বিধায়কদের কিনে বিভিন্ন রাজ্যে সরকারের পতন ঘটায়। আপ এটাকে অপারেশন লোটাস বলে উল্লেখ করে।
মনীশ সিসোডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ
বর্তমানে দিল্লির আবগারি দফতরে নয়া নীতি বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত মনীশ সিসোডিয়া। সিবিআই ১৪ ঘণ্টা মনীশ সিসোডিয়ার বাড়ি তল্লাশি করে। পাশাপাশি মনীশ সিসোডিয়ার ব্যাঙ্কের লকারও তল্লাশি চালায়। সিবিআই দফতরে মনীশ সিসোডিয়াকে ডেকে পাঠানো হয়। আপের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, গুজরাত নির্বাচনকে সামনে রেখে দলতে চাপে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিবিআই এগুলো করছে। অন্যদিকে, মনীশ সিসোদিয়া অভিযোগ করেন, তাঁর কাছে বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব আসে। বিনিময়ে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে।
দল বদলালে তবেই জামিন অনুব্রত মণ্ডলের! ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে উত্তাপ বাড়ল আদালতেও