যৌন নিগ্রহের অপরাধে গ্রেফতার আম আদমি পার্টি নেতা আমানতউল্লা খান
নয়াদিল্লি, ২১ সেপ্টেম্বর : বিধায়ক সন্দীপ কুমারের গ্রেফতারের একমাস কাটতে না কাটতেই ফের বিড়ম্বনায় পড়ল কেজরিওয়াল সরকার। এবার বিতর্ক শুরু হয়েছে অপর এক আম আদমি পার্টির বিধায়ক আমানতউল্লা খানের গ্রেফতারিকে ঘিরে। বেশ কয়েকদিন আগেই এই বিধায়কের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। যদিও বিধায়কের পরিবারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করা হয়। [সেক্স টেপ ফাঁসের জেরে পদ হারালেন আম আদমি পার্টির মন্ত্রী]
বুধবার দিল্লি পুলিশ আপ বিধায়ক আমানতউল্লা খানকে যৌন নিগ্রহের অপরাধে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হবার পরেও অবশ্য এই মন্ত্রী টুইটে অভিযোগ করে বলেছেন, "আমি এক পুলিশ কর্তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে আমাকে গ্রেফতার করা হয়"। [গর্ভবতী স্ত্রীর উপরে কুকুর ছেড়ে দেন 'কীর্তিমান' আপ নেতা!]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মহিলা আত্মীয়কে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে দায়ের হয়েছিল আমানতউল্লা খানের বিরুদ্ধে। এই জন্যই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। এর আগের বিধায়ক সন্দীপ কুমার বিতর্কে জড়িয়ে মন্ত্রীত্ব হারিয়েছিলেন। এবারেও কি সেই রকমই কিছু ঘটতে চলেছে? [অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে কুমার বিশ্বাসকে তলব দিল্লি মহিলা কমিশনের]
উল্লখ্য গত সোমবার অনেক কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আমানতউল্লা খান থানায় গিয়েছিলেন পুলিশ তখন তাকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়নি। সেদিন থানা থেকে বেড়িয়ে এসে এই নেতা জানিয়েছিলেন , তিনি পুলিশ কে অনুরোধ করেন তাঁকে যেন গ্রেফতার করা না হয়। কারন এই সময়ে দিল্লিতে ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার সমস্যা মেটানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। এদিনের গ্রেফতারির প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কোন মন্তব্য সামনে না এলেও তাঁর দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, "মিথ্যা মামলায় আম আদমি পার্টির নেতাদের ফাঁসানো হচ্ছে"। [ফের দিল্লি : ৪ বছরের শিশুকন্যাকে যৌন হেনস্থা ৬৮ বছরের বৃদ্ধের]