
গুজরাতে ২৭ বছরে ঠিক ৭৩ স্কুল, পরিদর্শনে সিসোদিয়া-কেজরিওয়ালরা! দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে পাল্টা নিশানা বিজেপির
গুজরাতের সরকারি স্কুল পরিদর্শন করবেন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। গুজরাতের সরকারি স্কুলের পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিআর পাতিল চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন আপকে। সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আপ নেতা তথা দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জানিয়ছেন, তিনি সিআর পাতিলের নির্বাচনী এলাকা নভসারির সরকারি স্কুল দিয়ে তাঁর পরিদর্শন শুরু করবেন।

গুজরাতের সরকারি স্কুল নিয়ে বিজেপিকে নিশানা আপের
আপের তরফে অভিযোগ জানিয়ে বলা হয়েছিল, গুজরাতে বিজেপি সরকার গত ২৭ বছরে মাত্র ৭৩ টি সরকারি স্কুলকে ঠিক করেছে। মণীশ সিসোদিয়া কটাক্ষ করে বলেছিলেন, যদি এই হারে কাজ হয়, তাহলে গুজরাতে থাকা ৪০,৮০০ সরকারি স্কুল ঠিক করতে কিংবা আপগ্রেড করতে ১৫ হাজার বছর লেগে যাবে।
তিনি দাবি করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মাত্র পাঁচ বছর সময়ে সেখানকার সব সরকারি স্কুলকে বাকি বিশ্বের সমান করেছেন। ফলে মানুষ গুজরাতে তার মডেলকেই চায়। তারা সরকারি স্কুল ঠিক করতে ১৫ হাজার বছর অপেক্ষা করতে চায় না।

শীঘ্রই তারিখ জানানো হবে
দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বলেছেন, তাঁরা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার পরে নিশ্চয়ই বিজেপি তাদেরকে গুজরাতের সরকারি স্কুল পরিদর্শনের সুযোগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে না। এব্যাপারে পরিদর্শনের তারিখ তিনি শীঘ্রই জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

বঞ্চনা আর নেই রজ্যের গুজরাত
মণীশ সিসোদিয়ে বলেছেন, কেজরিওয়াল এবং তিনি যখনই গুজরাত সফর করেন, তখন সেখানকার লোকের রাজ্যের ভেঙে পড়া পরিকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা নেই এখন স্কুল তাঁদের নজরে এনেছেন। তারা এও অভিযোগ করেছেন, গত ২৭ বছরে স্কুলগুলির দিকে নজর দেয়নি সরকার। গুজরাতের শিশুরা শুধু মান সম্পন্ন শিক্ষাই নয়, প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

পাল্টা বিজেপির নিশানা
অন্যদিকে বিজেপিও পাল্টা জবাব দিয়েছে। দিল্লি বিজেপির প্রধান আদেশ গুপ্তা দিল্লির সরকারি স্কুলগুলির পরিস্থিতি নিয়ে আপ সরকারকে আক্রমণ করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, দিল্লির সরকারি স্কুলের ৮৪% অধ্যক্ষ, ৩৪% উপাধ্যক্ষ, ৪০% টিজিটি এবং ২২%পিজিটি শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, সিসোদিয়া অন্য রাজ্যের স্কুল নিয়ে চিন্তিত। তাঁর চিন্তার ১০% যদি দিল্লির স্কুলগুলিকে নিয়ে থাকত, তাহলে শিশুদের দুটি শিফটে পড়াশোনা করতে হত না।
প্রসঙ্গত গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বারে বারে রাজ্য সফর করছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে মণীশ সিসোদিয়ার মতো নেতারা। দাবি করছেন, তাঁদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তবে তা কতটা বাড়ছে তার জন্য সাধারণ মানুষকে অপেক্ষা করতে হবে আরও বেশ কিছুটা সময়।
হাওড়া-শিয়ালদহ ডিভিশনে কয়েক হাজার শূন্যপদে নিয়োগ, মাধ্যমিক পাশেই করুন আবেদন