অরবিন্দ কেজরিওয়াল চুনোপুঁটি, পিছনে বড় শক্তি!
সাক্ষাৎকারে তিনি যে অভিযোগগুলি তুলেছেন, তা এই রকম:
১. "দলের বৈঠকে সব বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে আম আদমি পার্টি যে দাবি করে, তা পুরোটা ভুয়ো। কয়েকজন মিলে সব সিদ্ধান্ত নেয়। আপনি বিরোধিতা করলে আপনাকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, যোগেন্দ্র যাদব, মণীশ শিশোদিয়া, সঞ্জয় সিং এবং গোপাল রাই সব সিদ্ধান্ত নেন। এমনকী, প্রশান্ত ভূষণ ও মণীশ শিশোদিয়ার গুরুত্বও খুব কম।"
২. "দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনের নামে আম আদমি পার্টি মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। দিল্লিতে ওরা বর্তমান লোকায়ুক্তকে নিয়ে কাজ করতে পারত। কিন্তু শুধু নাটকবাজি করল।"
৩. "সরকার গঠনের সময় অরবিন্দ কেজরিওয়াল মানুষের মতামত নিলেন। কিন্তু পদত্যাগের সময় নিলেন না কেন?"
৪. "আম আদমি পার্টিতে যে কর্তাভজা সংস্কৃতি রয়েছে, তা সমাজবাদী পার্টি বা বহুজন সমাজ পার্টিতেও নেই।"
৫. "আম আদমি পার্টির ওপরেও কোনও কর্তৃপক্ষ আছে। এরা চায় লোকসভা হোক ত্রিশঙ্কু। তাতে তাদের সুবিধা হবে। এই শক্তিটি রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়।"
৬. "জঙ্গি, জঙ্গিবাদের দিকে ঝোঁক আছে এমন লোক, নকশালরা আম আদমি পার্টির নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে।"
৭. "আম আদমি পার্টি কীভাবে সংবাদের শিরোনামে থাকবে, তা নিয়ে কথা বলে। ওরা কোনও গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি বা নীতি নিয়ে কথা বলে না।"
৮. "যোগেন্দ্র যাদব নিশ্চিতভাবেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। এর বিনিময়ে আম আদমি পার্টিকে যেটা করতে হবে, সেটা হল সারা দেশে কংগ্রেস-বিরোধী ভোটকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া।"
বিস্ফোরক দাবি দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়ের
৯. "বারাণসীতে আম আদমি পার্টির কোনও জনভিত্তি নেই। দিল্লি থেকে ওরা বেতনভুক কর্মীদের নিয়ে গিয়েছে। দল তাদের কর্মীদের ২৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। এই খরচের কোনও হিসাব থাকছে না।"
১০. "আম আদমি পার্টিকে টাকা দিচ্ছেন নবীন জিন্দল।"
১১. "দল বলে, একটি পরিবার থেকে একজনের বেশি কোর কমিটির সদস্য হতে পারবে না। অথচ ফোর্ড ফাউন্ডেশনের কর্তাদের পরিবারের সবাই এর সদস্য হয়ে বসে আছে।"
১২. "দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সময় উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে প্রচুর টাকা এসেছিল।"
১৩. "জাতীয় উপদেষ্টা পর্ষদে ঢোকার জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল সোনিয়া গান্ধীকে ব্ল্যাকমেইল করেছিলেন।"
১৪. "এমনকী সন্তোষ কোলির বাবা-মাও তার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে কিছু জানেন না। অরবিন্দ কেজরিওয়াল ছাড়া এটা নিয়ে কেউ কিছু জানে না। কিন্তু উনি এই মৃত্যুর বিষয়টি লোককে শুনিয়ে ভোট পেতে চাইছেন।"
১৫. "অরবিন্দ কেজরিওয়াল একজন স্বৈরাচারী। তিনি সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না।"
১৬. "অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং যোগেন্দ্র যাদব কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন রবার্ট ভদরার একটি হোটেলে। এর পরই সিদ্ধান্ত হয়, ৪০০ আসনে লড়বেন তাঁরা। অথচ প্রাথমিকভাবে ৭০টি আসনে লড়তে চেয়েছিলেন। কিছু বোঝাপড়া হয়েছিল।"
১৭. "দলে উগ্র বামপন্থীদের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ায় জাতীয়তাবাদী কণ্ঠ অধৈর্য হয়ে পড়ছে। এই নির্বাচনে যদি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের থেকে কুমার বিশ্বাস বেশি ভোট পান, তা হলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে।"