মধ্যপ্রদেশে কলঙ্কিতদের ভোটের টিকিট দিয়েছেন কেজরিওয়াল, দাবি
ছবিটা মধ্যপ্রদেশের। মধ্যপ্রদেশ ইলেকশন ওয়াচ এবং অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মস রাজ্যে কাজ করে গণতন্ত্রের নানা বিষয় নিয়ে। আগামী ১৭ এপ্রিল মধ্যপ্রদেশের যে ১০টি আসনে ভোট নেওয়া হবে, সেখানে প্রার্থী দিয়েছে আম আদমি পার্টিও। দেখা যাচ্ছে, ৪০ শতাংশ বা ৪ জন প্রার্থীর রয়েছে ফৌজদারি অপরাধের রেকর্ড। আর ৩০ শতাংশ বা ৩ জন প্রার্থীই হলেন শতকোটিপতি। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে আম আদমি পার্টি।
প্রসঙ্গত, যে ১০ আসনে আগামী ১৭ এপ্রিল ভোট নেওয়া হবে, সেইগুলি হল মোরেনা, ভিন্দ, গোয়ালিয়র, গুনা, সাগর, টিকমগড়, দামোহ, খাজুরাহো, ভোপাল এবং রাজগড়।
এদিকে, প্রশাসনের আগাম অনুমতি না নিয়ে দিল্লির রাজঘাটে সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করায় বিপাকে পড়লেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁকে শো-কজ নোটিশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দিল্লির সুলতানপুরীতে এক অটোচালক চড় মারেন কেজরিওয়ালকে। এর প্রতিবাদে তিনি মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে গিয়ে ধ্যানে বসেন। পরে সমর্থকদের নিয়ে সেখানে একটি বৈঠক করেন এবং উক্ত ঘটনার পিছনে বিজেপি রয়েছে বলে দাবি করেন। এই সভার অনুমতি চেয়ে তিনি পুলিশ-প্রশাসনের কাছে যাননি। ফলে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর জেরে বুধবার তাঁকে চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবারই তাঁকে চিঠির জবাব দিতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পূর্ব দিল্লির জেলা নির্বাচনী অফিসার নীহারিকা রাই বলেন, "নির্বাচন কমিশনের অনুমতি না নিয়ে রাজঘাটে বৈঠক করায় কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। বৃহস্পতিবারই তাঁকে চিঠির জবাব দিতে হবে এবং বলতে হবে, কেন তিনি নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেননি বা পুলিশকে আগাম জানাননি। চিঠির উত্তর পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন।"
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, এহেন চিঠি পেয়ে বেশ ঘাবড়েই গিয়েছে আম আদমি পার্টি। কারণ তারাই এতদিন কংগ্রেস, বিজেপি-র বিরুদ্ধে বারবার নালিশ জানাচ্ছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে। এবার সেই নির্বাচন কমিশনের তোপের মুখে পড়তে হল তাদেরই।