মৃত্যুমুখী ছেলেকে বাঁচাতে স্টেশনেই দুধের মরিয়া খোঁজ বাবার, মায়ের কোলেই চোখ বুঝল ছোট্ট শিশু
মৃত্যুমুখী ছেলেকে বাঁচাতে স্টেশনেই দুধের মরিয়া খোঁজ বাবার, মায়ের কোলেই চোখ বুঝল ছোট্ট শিশু
দেশজোড়া লকডাউনের মাঝেই এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুঃখ-দুর্দশার চিত্রটা আরও প্রকট হচ্ছে। এবার খিদের জ্বালায় বিহারের মুজফ্ফরপুর স্টেশনে মারা গেল এক বিহারী পরিযায়ী শ্রমিকের সাড়ে চার বছরের শিশু।
মুজফ্ফরপুরেট্রেন পৌঁছানোর পরেই অবস্থার অবনতি হয় শিশুটির
দিল্লি থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে মুজফ্ফরপুরে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার নামার পড়েই খিদের জ্বালায় ও অত্যধিক গরমের মাঝে কাতরাতে থাকে শিশুটি। ছেলেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টাও করতে থাকে তার বাবা। একটু দুধের জন্য মরিয়া হয়ে সেই সময় তাকে স্টেশন চত্বরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। কিন্তু তবুও শেষ রক্ষা হয়নি।
লকডাউনে কার্যত পথে বসে পিন্টু-র পরিবার
এদিকে পুত্রহারা পিতা মকসুদ আলম ওরফে মোহাম্মদ পিন্টু দিল্লিতে রঙ মিস্ত্রির কাজ করত বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু লকডাউনের জেরে গত মাস থেকেই তীব্র অর্থকষ্টের সঙ্গে দিন গুজরান করছিল তার পরিবার। এমনকী দিল্লির যে এলাকায় তারা ঘর ভাড়া করে থাকতো সেটিও অর্থকষ্টের জেরে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় তারা। তীব্র সঙ্কটের মধ্যে পড়ে বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়।
রাস্তাতেই কাহিল হয়ে পড়ে ছোট্র ইসহাক
অবশেষে স্ত্রী জেবা ও ছেলে ইসহাকের সাথে লকডাউনের দুর্বিষহ অতীত পিছনে ফেলে সোমবার পশ্চিম চম্পরান জেলায় নিজ দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয় তারা। সামনেই ঈদ কিন্তু উত্তভারতের তীব্র দাবদহে ট্রেনে আসার সময় যাত্রাপথে অসুস্থ বোধ করে ছোট্ট ইসহাক। তাদের ট্রেনটি মুজাফ্ফরপুর জংশনে পৌঁছানোর সাথে সাথে ইসহাকের অবস্থার আরও অবনতি হয়।
সরকারি আধিকারিকদের ব্যবস্থা নিতে গড়িমসির অভিযোগ
ট্রেনেই রেলের আধিকারিকদের এবং স্টেশনে নামার পরেও সংশ্লিট কর্তৃপক্ষকে ইসহাকের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানানো হয়। কিন্তু তাদের যথেষ্ট গড়িমসি দেখা যায় বলে পিন্টুর স্ত্রী জেবা সংবাদ মাধ্যমে জানান। পরবর্তীতে পিন্টু ও জেবা মিলে দুজনে নিজেদের সন্তানকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করেন। একটু খাবার ও দুধের জন্য গোটা স্টেশনে মরিয়া হয়ে দৌড়াদৌড়ি করে পিন্টু। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে মায়ের কোলেই চোখ বুঝল ছোট্ট ইসহাক।
দেশের দরিদ্র ও পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা সামনে আনতে অনলাইন প্রচারকে হাতিয়ার কংগ্রেসের