লকডাউনের মাঝেই এবার ভিডিও কনফারেন্সে বিয়ে! বিস্মৃত নেটিজেনরা
লকডাউনের মাঝেই এবার ভিডিও কনফারেন্সে বিয়ে ! বিস্মৃত নেটিজেনরা
ডিজিটাল ভারতে অনলাইনে তিনবার 'তালাক' লিখে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা দেখা গিয়েছে আগেই। লকডাউনের আবহে এইবার ঘটে গেল অনলাইন বিবাহ। ৬ই এপ্রিল কানপুরনিবাসী ২৮ বছরের নাজাফ নাকভি ও হায়দ্রাবাদের ২৫ বছ বয়সী ফারিয়া সুলতানার বিবাহ হল সোশ্যাল মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সের দ্বারা।
অনলাইনে বিবাহের সূত্রপাত কিভাবে?
লকডাউন শুরুর পূর্বেই নাজাফ ও ফারিয়ার বিবাহের দিন স্থির হয় ৫ই এপ্রিল। কিন্তু লকডাউনের জেরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হত, ফলত তাঁরা বেছে নেন অনলাইনে বিবাহের পথ। স্কাইপ, ওয়াটস অ্যাপ ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৬জন আত্মীয়-পরিজনের উপস্থিতিতে নিকাহ সম্পন্ন হয়।
অনলাইনে বিবাহের ক্ষেত্রে নিয়মাবলী কেমন ছিল?
হায়দ্রাবাদে কাজীর ব্যবস্থা না করতে পারায় শেষ মুহূর্তে কানপুরের দুই মৌলানা নিকাহ সম্পন্ন করেন। ভিডিও কনফারেন্সে বিবাহ করলেও সমস্তরকম সাবধানতা অবলম্বন করে, মাস্ক পড়ে ও প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কার্য সম্পন্ন হয়।
পাত্রপাত্রীর বক্তব্য কি?
অনলাইন বিবাহের হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিভূত দুই পরিবারের একাংশ। পাত্রপাত্রীর মতে, লকডাউন শেষের অপেক্ষা কতদিন করতে হত তা অজানা ছিল, তাই এই অনলাইন বিবাহের সিদ্ধান্ত।তাছাড়া ইসলামী মতে, 'নিকাহ' একটি পবিত্র কার্য, আত্মীয়স্বজনদের ডেকে জমায়েত করার কোনো প্রয়োজন নেই বলেও জানান তাঁরা।
অনলাইন বিবাহের কিছু ঝলক
অনলাইনে বিবাহের সময় নির্ধারিত হয় দুপুর ১২.৩০টা। কিন্তু সবকিছু গোছগাছ করে নাকভির হাতে মাত্র ১৫ মিনিট থাকে বিয়ের পোশাকে তৈরি হওয়ার জন্য। নাকভি জানান, "শেরওয়ানি পড়লেও পাজামা পড়ার সময় হয়নি। জিন্স পড়েই ক্যামেরার সামনে বসে পড়ি।" অন্যদিকে ফারিয়া জানান, "অনেককিছু প্ল্যান ছিল বিয়ে ঘিরে। তবে এভাবে নিকাহ করার অভিজ্ঞতা সত্যিই অভূতপূর্ব। নিজের চুল থেকে শুরু করে মেকআপ, সব আমি নিজেই করেছি।" ইসলামী মতে, কনের বিয়ের পোশাক বরের বাড়ি থেকে ও বরের বিয়ের পোশাক কনের বাড়ি থেকে দেওয়া হয়। নাকভি জানান যে, তাঁরা প্রায় একমাস আগেই একে-অপরের বাড়িতে পোশাক পাঠিয়ে রেখেছিলেন।
নিকাহের পরের খবর জানালেন যুগল
নিকাহের পরে নিয়মানুযায়ী স্বামীর বাড়িতে যেতে হয় স্ত্রীকে, কিন্তু লকডাউনের জেরে এখনই ফারিয়ার পক্ষে কানপুর যাওয়া সম্ভব নয়। 'ওয়ালিমা' ও 'বিদাই' অনুষ্ঠানও হয়নি। ফলে, একে অপরের সঙ্গে দেখার অপেক্ষায় নববিবাহিত যুগল।
মমতা সিঙ্গাপুর থেকে এনেছেন সিঙ্গাপুরী কলা! রাজ্যে তিন ধরনের তৃণমূল নেতা, ব্যাখ্যা করলেন সায়ন্তন