কেন্দ্র–আইএমএর তথ্যের গরমিল, মারণ কোভিডে দেশে মোট ৫১৫ জন চিকিৎসকের মৃত্যু
মারণ কোভিডে দেশে মোট ৫১৫ জন চিকিৎসকের মৃত্যু
দেশে এখনও পর্যন্ত ৫০০ জনের বেশি চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে মারা গিয়েছেন। শুক্রবার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। মারণ ভাইরাসে মৃত্যু হওয়া কোভিড–১৯ চিকিৎসকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে নিষ্পত্তি হয়েছে বা তা মীমাংসার প্রক্রিয়াধীন দাবির প্রায অর্ধেক।
৫১৫ জন চিকিৎসক মারা গিয়েছেন
আইএমএ-এর সভাপতি ডাঃ রাজেন শর্মা বলেন, ‘আমাদের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা করছিলেন এমন ৫১৫ জন চিকিৎসক এই দেশে এখনও পর্যন্ত শহিদ হয়েছেন। এঁরা সকলেই অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসক ছিলেন, যাঁদের আমরা আইএমএর বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে সনাক্ত করতে পেরেছি। দেশে ১,৭৪৬টি শাখা রয়েছে আইএমএর। এই সংখ্যাটা আসলে অনেক বেশি হতে পারে।'
আইএমএর কাছে মৃত চিকিৎসকদের তথ্য উপলব্ধ
আইএমএর তথ্য অনুযায়ী, চিকি১সক-রোগীর অনুপাত ১:১৯৪। ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সী চিকিৎসকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশ (২০১ জন), যার মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৭১ জন চিকিৎসক মারা গিয়েছে। ৭০ বছরের বেশি বয়সের চিকিৎসকদের সংখ্যা ৬৬ জন এবং ৩৫ থেকে ৫০ বছর বয়সী চিকিৎসকদের সংখ্যা ৫৯ জন। ৩৫ বছরের নীচে প্রায় ১৮ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে দেশে কতজন চিকিৎসক কর্তব্য করতে গিয়ে মারা গিয়েছেন, তার কোনও তথ্য কেন্দ্রের কাছে নেই।
তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে সম্প্রতি সংসদে জানিয়েছেন যে জনস্বাস্থ্য ও হাসপাতাল রাজ্যের আওতায় আসে, তাই কেন্দ্র কোনও ধরনের তথ্য রাখেনি এ সংক্রান্ত। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা প্যাকেজের অন্তর্গত মহামারির সময় কতজন মৃত স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে তার পরিসংখ্যান রয়েছে।
মৃত চিকিৎসকদের সংখ্যা নিয়ে গরমিল আইএমএ–কেন্দ্রের
গত ২২ সেপ্টেম্বর কোভিড-১৯-এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছিলেন যে এই বিমা প্রকল্পের অন্তর্গত ২৪২ জন দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিপূরণের জন্য। যা কিছুটা সম্পন্ন হয়েছে এবং কিছুজনের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার কাজ চলছে। ভূষণ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মহামারি প্রতিক্রিয়া প্যাকেজের অন্তর্গত তথ্য আমরা খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছি।সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বিমার অর্থ দেওয়া হবে এবং এর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের মার্চ মাস করা হয়েছে। এই প্যাকেজের অন্তর্গত ৬২ জনের টাকা দেওয়া হয়েছে এবং ১৩০টির বেশি বিমার অর্থ দাবিদারদের কাজ চলছে।' অথচ আইএমএ প্রকাশ করা সংখ্যার এটি অর্ধেক।
মহিলার দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য যাদবপুরে