উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের সমরিক বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক
পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বুধবার একটি বৈঠক হয়েছে। পূর্ব লাদাখের সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকায় সামরিক উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বুধবার একটি বৈঠক হয়েছে। পূর্ব লাদাখের সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকায় সামরিক উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বৈঠকের কথা প্রকাশ করা হয়নি। তবে প্রতিমাসে এই ধরনের একটি বৈঠক সংগঠিত হয় বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ভারত ও চিনের সামরিক বাহিনীর মেজর জেনারেল স্তরের আধিকারিকরা এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। গত দুই বছর ধরে পূর্ব লাদাখের ইন্দো চিন সীমান্ত বরাবর উত্তেজনা চলছে। নয়াদিল্লি বার বার এলএসি বরাবর শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য আলোচনার ওপর জোর দিয়েছে। সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে দুই দেশের সামরিক বাহিনী ১৬ দফা কর্পস কমান্ডোর পর্যায়ে আলোচনা করেছে। চিন ও ভারতের মধ্যে একের পর এক সামরিক ও কূটনৈতিক বৈঠকের ফলে গত বছর প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ এবং তীরে গোগরা এলাকায় স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
তবে সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যে ইন্দো চিন সীমান্ত বরাবর সামরিক শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে বেজিং প্রশাসন। গত কয়েক মাস ধরে চিন তিব্বতে একাধিকবার বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালিয়েছে। তিব্বতের সামরিক মহড়ায় চিনের বিমান বাহিনীর অতি সক্রিয়তা দেখতে পাওয়া যায়। তিব্বতে চিন বিমান ঘাঁটি নির্মাণ করতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে চিন রেল পরিষেবা চালু করেছে। চিনের তরফে যদিও জানানো হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের যোগাযোগ পরিষেবা বাড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এই রেল পরিষেবার ফলে চিন সীমান্তে দ্রুত সেনা মজুত করতে পারবে।
পূর্ব লাদাখে সীমান্ত বরাবর সড়ক পথ নির্মাণকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা তৈরি হয়। চিন সড়ক পথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে। পাল্টা সীমান্তে অবৈধ নির্মাণ শুরু করে চিন। এরপরেই সীমান্তে সেনা মজুত করতে শুরু করে চিন। দুই দেশের সেনারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। ঘটনার দুই বছর কেটে গেলেও, উত্তেজনা কিছুটা স্তিমিত হলেও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ডোকলামে ভারত ও চিনের সেনারা মুখোমুখি অবস্থান করে। সেই সময় সীমান্ত জুড়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। সড়ক পরিষেবা খারাপ হওয়ার কারণে সীমান্তে সেনা পাঠাতে বিপাকে পড়ে ভারত। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই সীমান্ত বরাবর সড়ক নির্মাণের ওপর কেন্দ্র সরকার জোর দেয়।