নিয়োগের ক্ষেত্রে উন্নতি করছে ভারত, প্রাক-করোনার পর্যায়ের ৪২ শতাংশ উপরে গ্রাফ
ভারত ক্রমেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি বাড়াচ্ছে। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যে, দেশে নিয়োগের কার্যক্রম ক্রমাগত পুনরুদ্ধার হচ্ছে। পরিসংখ্যানও সেই কথা বলছে।
ভারত ক্রমেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি বাড়াচ্ছে। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যে, দেশে নিয়োগের কার্যক্রম ক্রমাগত পুনরুদ্ধার হচ্ছে। পরিসংখ্যানও সেই কথা বলছে। কারণ এই বছরের জুন মাসে নিয়োগের হার ২০১৯ সালে প্রাক-করোনা মহামারী স্তরের প্রায় ৪২ শতাংশ ছিল। সম্প্রতি এমন রিপোর্ট সামনে এসেছে।
লিংকডইন ইন্ডিয়ার ২০২১ সালের জুনের শ্রম বাজার আপডেট অনুসারে, ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০২১-এর এপ্রিল মাসে নিয়োগের গতি ছিল। তারপর থেকে ২০১৯ সালের প্রাক-কোভিড পর্যায়ের তুলনায় ক্রমাগত গতি বাড়ছে নিয়োগ প্রক্রিয়ার।
২০২১ সালের মে শেষে ভারতের নিয়োগের হার ছিল ৩৫ শতাংশ বেশি ছিল এবং চলতি বছরের জুনের শেষে তা ৪২ শতাংশ বেশি হয়। নিয়োগের হার লিঙ্কডইন সদস্যরা পরিমাপ করেন। এই বিশ্লেষণ ২০২১-এর এই মাসে এবং ২০১৯-এর একই মাসের মধ্যে নিয়োগের হারের পরিবর্তন তুলনা করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে কোম্পানিগুলি নিয়োগের ব্যাপারে আরও সতর্ক অবস্থান নিয়েছিল। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১২ মাস আগের তুলনায় চাকরির প্রতিযোগিতা কম ছিল এখন। তবে আবেদনকারীরা আরও সক্রিয় হয়ে আবেদন করেছেন।
ওই প্রতিবেধনে বলা হয়েছে, "গত বছর আমরা বৈশ্বিক লকডাউনের সময়, ২০২০ সালের মাঝামাঝি কাজের প্রতি আবেদন দ্বিগুণ দেখেছি। এই মুহূর্তে এটি বিপরীত অভিমুখী হয়েছে। গত বছরের একই মাসের তুলনায় কাজের প্রতি গড় আবেদন ০.৬। এদিকে, আবেদনকারীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং গত বছরের তুলনায় ১.২- এ পৌঁছেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে বাজারে চাকরির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শ্রমিকরা আরও সক্রিয়ভাবে কাজ খুঁজছেন। এই পরিবেশে যেসব পেশাজীবী উচ্চ দক্ষতার অধিকারী, তাঁদের জন্য চাকরির বিস্তৃত সুযোগ থাকবে।
প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দক্ষতা সম্পন্ন তরুণ কর্মীদের চাহিদা বেশি। আমাদের ডেটা দেখায় যে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে, জেনারেশন জেডসের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ ৪.২ গুণেরও বেশি বেড়েছে।
এই প্রতিবেদনে আরও প্রকাশ, যখন আমরা ডিজিটাল দক্ষতার বিভিন্ন স্তরের দিকে গভীরভাবে নজর রাখি, তখন আমরা দেখতে পাই যে, তাদের বয়সের অন্যদের তুলনায় যাদের কেবল মৌলিক বা প্রয়োগকৃত ডিজিটাল দক্ষতা রয়েছে, জেনারেশন জেড যাদের সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার দক্ষতা বা বিঘ্নিত ডিজিটাল দক্ষতা রয়েছে, তাদের মধ্যে নিয়োগের সম্ভাবনা ১.৩ থেকে ১.৫ গুণ বেশি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।