সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের বড় পদক্ষেপ, ১০ জনকে জঙ্গি ঘোষণা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
১০ জন সন্ত্রাসীকে জঙ্গি ঘোষণা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
ইউএপিএ আইনের অধীনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তইবা ও বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর মোট ১০ জন সদস্যকে জঙ্গি ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে এই ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরে এনকাউন্টারে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে।
১০ সন্ত্রাসবাদীকে জঙ্গি ঘোষণা
মঙ্গলবার জারি করা বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সন্ত্রাসী হিসাবে মনোনীতদের মধ্যে রয়েছে হাবিবুল্লাহ মালিক ওরফে সাজিদ জুট। জুট পাকিস্তানের নাগরিক। অন্য আর এক জঙ্গি বসিত আহমেদ রোশি। রোশি জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরের বাসিন্দা। কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছে। ইমতিয়াজ আহমেদ কান্ডু ওরফে সাজাদ, যিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরের বাসিন্দা কিন্তু এখন পাকিস্তানে বাস করছে। জাফর একবাল ওরফে সেলিম কাশ্মীরের পুঞ্চের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছে। শেখ জামিল-উর-রহমান ওরফে শেখ সাহাব, যিনি পুলওয়ামার বাসিন্দা, তিনিও পাকিস্তানে রয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কাশ্মীরি জঙ্গিরা পাকিস্তানে বাস করছেন
অন্যরা হলেন বিলাল আহমেদ বেগ ওরফে বাবর, যিনি শ্রীনগরের বাসিন্দা কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।পুঞ্চের রফিক নাই ওরফে সুলতান, ডোডার ইরশাদ আহমেদ ওরফে ইদ্রিস, কুপওয়ারার বশির আহমেদ পিয়ার ওরফে লমতিয়াজ এবং বারামুল্লার শওকত আহমেদ শেখ ওরফে শওকত মুচি কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে সকলেই পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।
উপত্যকায় একাধিক হামলার সঙ্গে জড়িত
মঙ্গলবার জারি করা পৃথক একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিবুল্লাহ মালিক সন্ত্রাসীদের মূল মাথা ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে পুঞ্চে ভারতীয় সেনারা হামলা চালিয়েছিল। জঙ্গিদের জন্য জম্মু ও কাশ্মীরে ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মালিক জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি হামলার মূল মাথা ছিল। ২০১৩ সালের জুন মাসে শ্রীনগরের হায়দারপোরায় সেনা কর্মীদের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী হামলার বুদগামের চাদুরায় স্টেশন হাউস অফিসারকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল।
নিশানা করে হত্যার অভিযোগ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বসিত আহমেদ রোশি জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসী হামলা ও নিশানা করে হত্যা করার সঙ্গে যুক্ত। ২০১৫ সালে সোপোরের তাজ্জৌর শরীফ পেথ আস্তানে বাবা আলি রায়না মাজারে একটি পুলিশ গার্ড পোস্টে একটি সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। হামলায় একজন পুলিশ কর্মী ও একজন সাধারণ মানুশ নিহত হয়েছিলেন। সীমান্ত পেরিয়ে অস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রে রোশি সাহায্য করে বলে জানা গিয়েছে।
এনকাউন্টারে হত তিন জঙ্গি
মঙ্গলবার যেদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে ১০ জনকে জঙ্গি ঘোষণা করে, সেদিনই জম্মু ও কাশ্মীরের এনকাউন্টারে দুইজন নিহত হন। জইশ-ই মহম্মদের সঙ্গে জড়িত তিন জন স্থানীয় জঙ্গির এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বুধবার বারামুল্লায় একটি জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।