
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ২৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে কাউন্সিলে বৈঠকের সম্ভাবনা, দাবি রিপোর্টের
আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসতে চলেছে জিএসটি কাউন্সিল। বৈঠকে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ২৮ শতাংশের জিএসটির সর্বোচ্চ স্ল্যাবে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বৈঠকের পরেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়ছে।

জিএসটি কাউন্সিলের ৪৭তম সভা চণ্ডীগড়ে আগামী ২৮-২৯ জুন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এর আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ক্রিপ্টোকারেন্সি, নন ফাঞ্জিবাল টোকেন সব ভার্চুয়াল সম্পদের ওপর ৩০ শতাংশ কর আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। জিএসটির আগামী বৈঠকে একাধিক পরিবর্তন করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বেশ কিছু পণ্য জিএসটির আওতায় আসেনি। তাদের জিএসটির আওতায় নিয়ে আসর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বেশ কিছু পণ্যে জিএসটির স্ল্যাব পরিবর্তন করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। জিএসটির সর্বনিম্ন স্ল্যাব পাঁচ শতাংশ থেকে সাত বা আট শতাংশে আনতে আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ১৮ শতাংশের জিএসটি স্ল্যাব ২০ শতাংশে পরিবর্তন করা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। টেক্সটাইল ইনভার্টেড ডিউটি কাঠামো পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বর্তমানে জিএসটির চারটি স্তর বা স্ল্যাব রয়েছে। যেখানে ৫, ১২, ১৮, ২৮ শতাংশ হারে কর কার্যকর। এই চারটি স্তরে ৪৮০টি পণ্য বা পরিষেবা রয়েছে। এছাড়াও ব্রান্ড ছাড়া বা প্যাকেটবিহীন খাদ্যপণ্য এখনও জিএসটির বাইরে রয়েছে। সর্বনিম্ন স্ল্যাবের সঙ্গে সঙ্গে জিএসটির সর্বোচ্চ স্তর বা স্ল্যাব বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জিএসটির সর্বোচ্চ স্ল্যাব ২৮ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে করার প্রস্তাব বৈঠকে পেশ করা হতে পারে। মূলত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বা পরিষেবাগুলোকে জিএসটির সর্বিনম্ন স্ল্যাবে রাখা হয়। আবার যে সমস্ত পণ্য বা পরিষেবা মানুষের জীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিয়ে আসে তাদের সর্বোচ্চ জিএসটি স্ল্যাবে রাখা হয়। মে মাসে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ১,৪০,৮৮৫ কোটি টাকা। যা গত বছরের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে জিএসটির সংগ্রহ প্রায় ১৬ শতাংশ কমেছে।
৪৯ জন বিধায়কের সমর্থন শিন্ডের সঙ্গে! ১৩ জনকে নিয়েই বৈঠক সারলেন ঠাকরে
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাইয়ের নেতৃত্বে কাউন্সিল অ্যাপয়েন্টেড গ্রুপ বা জিওম সম্প্রতি একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে জিএসটির একাধিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়। তারমধ্যে যেমন রয়েছে জিএসটির স্ল্যাব পরিবর্তন, যে সমস্ত পরিষেবা বা পণ্য এখনও জিএসটির অধীনে আসেনি, সেগুলোকে নিয়ে আসা। কিন্তু বৈঠকে জিওএম কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি।