অবাক কাণ্ড, বিয়ের শর্তে রাজি হয়ে বেকসুর খালাস পাঁচ ধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্ত
পাঁচটি ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত পেয়ে গেল ছাড়া। শুধুমাত্র একজনকে বিয়ে করার শর্তে রাজি হয়ে এক অভিযুক্ত ছাড়া পেয়ে গেল বলে জানা গিয়েছে। অন্য দুইটি ঘটনার ক্ষেত্রে সে যে দোষ করেছিল সেটা স্রেফ মকুব করে দেওয়া হল তার হাতে নির্যাতিত হওয়া এক জনকে বিয়ে করার শর্তে রাজি হয়ে যাওয়ায়।
কী বলে আদালত?
এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনৌ বেঞ্চ আগেই প্রথম তিন ধর্ষণ কাণ্ডের জন্য ওই বিয়ে করতে রাজি হয়ে জাওয়ায় বেল দিয়ে দেয়। পরের যে দুই কেস ছিল তা থেকেও সে অব্যাহতি পেয়ে যায় ওই বিয়ে করার শর্তে রাজি হয়েও যায়।
কী বলছে বিচারপতি?
১০ অক্টোবর সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারক দিনেশ কুমার সিং বলেছিলেন যে মনু এপ্রিল ২০২২ থেকে ছিল। তাঁকে বেল দেওয়া হল দুটি কারণে। প্রথমত এক নির্যাতিতের বাবা এই বেল দিতে নিজে রাজি হয়েছে। ওই নির্যাতিতাও এই বেল দেওয়ায় সম্মতি দিয়েছে। আর ওই অভিযুক্ত ওই নির্যাতিতাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে এবং সে তার জন্য জন্ম নেওয়া শিশুকেও স্বীকার করেছে। তাই তাঁকে বেল দেওয়া হল।
পক্সো আইনেও মামলা
ঘটনা হল মনু নামে ওই অভিযুক্ত অপহরণ, ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত, পকসো আইনেও তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সেই মামলা দায়ের করেছিল উত্তরপ্রদেশ খেত্রির পুলিশ এই মামলা দায়ের করে কারণ ওই ক্ষেত্রে নির্যাতিতার বয়স ছিল ১৭ বছর।
আদেশে ঠিক কী বলা হয়?
কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে যে, "কোর্ট মনুকে এই শর্তেই ছাড়া দিয়েছে যে সে জেল থেকে ছাড়া পাবার ১৫ দিনের মধ্যে সে ওই মহিলাকে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করবে। এরপর সে তার কন্যা ও স্ত্রী'কে মান্যতা দেবে।"
বিলকিস বানো মামলাতে গুজরাট সরকার মুক্তি দিয়েছে চিমান লাল ভাট নামে এক ব্যক্তিকে! ২০২০ সালের একটি শ্লীলতাহানীর একটি মামলার চার্জশিটে উঠে এল তাঁর নাম। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে যে হলফনামা জমা দিয়েছে গুজরাট সরকার তাতেই দেখা গিয়েছে ২০২০ সালের ১৯ জুন ৫৭ বছর বয়সী এক মহিলার শ্লীলতাহানির ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে আটক করেছিল রাধিকাপুর পুলিশ।
রিপোর্টে জানা যায়, বিলকিস মামলাতে গত ২৫ মে পর্যন্ত ৯৫৪ দিন প্যারোলে কাটিয়েছেন সীমান লাল ভাট। শুধু তাই নয়, ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়ার পরেও ২৮১ দিন জেলের বাইরে কাটিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।অন্যদিকে প্যারোলে থাকাকালীন শ্লীলতাহানির মামলাতে আটক করা হয়েছিল ওই ব্যক্তিকে।
সীমান লাল ভাটকে কেন ছেড়ে দেওয়া হল সেই প্রসসঙ্গে পুলিশ সুপার বলরাম মিনা জেলা শাসককে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও থানাতেই কোনও এফআইআর পাওয়া যায়নি। দাহদ জেলাতে সব পুলিশ স্টেশন থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল বলেও জানান পুলিশ সুপার। গুজরাট সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির মুক্তি সম্পূর্ণ ভাবে আইন মেনেই হয়েছে। সুভাষিণী আলি সহ উইমেন রাইট অ্যাক্টিভিস্ট ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেন।
রেকর্ড গড়ে আবারও পতন টাকার দামে, ৮৩ পেরিয়ে গেল ডলারের মূল্য