ভারতের দীর্ঘতম রেল টানেলের পাহারা দেয় 'ভূত', দাবি সিবিআইয়ের, আসল ঘটনাটা কী
ভারতের দীর্ঘতম রেল টানেল পীর পাঞ্জাল প্রহরায় দায়িত্বে থাকা কোম্পানি সরকারকে ঠকিয়ে চলেছিল।
পীর পাঞ্জাল টানেল যা কাজিগুন্ড থেকে বানিহাল পর্যন্ত এলাকা সংযোগ করে তা ভারতের দীর্ঘতম রেল টানেল হিসাবে পরিচিত। এই টানেলের প্রহরার বরাত একটি বেসরকারি কোম্পানিকে দেওয়া হয়। তবে অভিযোগ যত লোক প্রহরায় প্রয়োজন তা না দিয়ে অত্যন্ত কম লোক দিয়ে কাজ সারা হচ্ছিল। এবং সরকারের কোষাগার থেকে টাকা কাটছিল নিয়মিত।
ওই সংস্থা সরকারের কাছে ভুল তথ্য দিয়েছিল। বেশ সংখ্যক লোকের কথা বলে সেই অনুযায়ী টাকা তোলা হচ্ছিল। অথচ প্রহরায় ছিল নামমাত্র প্রহরী।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার মধ্যে চারজন রেল আধিকারিক, বাকী দুজন ওই বেসরকারি সংস্থা 'সারভনিক সিস্টেম ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড'-র কর্মী। মোট ৮৭ জন কর্মীর কথা বলে ৩৫ জনকে দিয়ে গড়ে কাজ করানো হচ্ছিল।
জম্মু ও কাশ্মীরের পীর পাঞ্জাল রেঞ্জে ১১.২ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলে ইলেক্ট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল কাজের বাইরেও টেলিকমিউনিকেশনের মতো কাজ দেখাশোনার দায়িত্বেও ছিল এই সংস্থা। ২০১৫ সালে ৫.৩৪ কোটি টাকার বিনিময়ে চুক্তি হয়। এবছর সেই চুক্তি বাড়িয়ে দেওয়া হয় আরও একবছরের জন্য।
চুক্তি অনুযায়ী মোট ৮৭জন কর্মচারী সবসময় প্রয়োজন দেখাশোনার জন্য। তবে তা ছিল না। এমনকী এই ৮৭জন কর্মীর মধ্যে মাত্র ২২ জনের প্রভিডেন্ট ফান্ড কাটা হয়। সকলকে পরিচয়পত্র দেওয়া হলেও তা হাতে পেয়েছেন মাত্র ৩৮ জন। ফলে সবমিলিয়ে গোটা ঘটনা তদন্ত করে সিবিআই অনেকগুলি ধারায় মামলা করেছে। ভূত নয়, অসৎ লোকের হাতে রয়েছে দেশের দীর্ঘতম এই টানেল।