এক সপ্তাহেই করোনায় মৃত্যু ৫০ হাজার! কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং-এর কাজে এবার গুগল, অ্যাপেল
সারা বিশ্ব নতুন ভাইরাসের নাম জানার ১০১ দিন অতিক্রান্ত। এই মুহুর্তে গড়ে প্রতি ৯০ সেকেন্ডে একজন করে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে। শুক্রবার মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়।
সারা বিশ্ব নতুন ভাইরাসের নাম জানার ১০১ দিন অতিক্রান্ত। এই মুহুর্তে গড়ে প্রতি ৯০ সেকেন্ডে একজন করে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, এই ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে। শুক্রবার মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। তবে গত একসপ্তাহের বিশ্ব জুড়ে এই রোগের প্রবাল্য বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ। জন হফকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণায় এই তথ্যই উঠে এসেছে।
দিল্লিতে ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত
ভারতের রাজধানীতে শুক্রবার ১৮৩ জনের সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। দিল্লিতে একদিনে এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বাধিক। এঁদের মধ্যে ১৫৪ জন নিজামুদ্দিন মার্কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। যেখান থেকে প্রায়. ২৩০০ জনকে হাসপাতাল কিংবা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর সারা ভারতে ৮৫৫ জনের আক্রান্ত এবং ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
৩৯ তম দিনে ভারতের আক্রান্তের সংখ্যা অন্য যে কোনও জন বহুল দেশের থেকে কম। পশ্চিমী দেশগুলিতে ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে ছয় সপ্তাহের মতো। এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত সংখ্যার নিরিখে আমেরিকা ও ইউরোপে ৭৭ শতাংশ এবং মৃতে সংখ্যার নিরেখে ৮৭ শতাংশ।
এবার নজর ভারতের মতো দেশে
এবার নজর ভারতের মতো নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশে। এমনটাই জানিয়েছেন মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োস্ট্যাসিস্টিকসের প্রধান ভ্রমর মুখোপাধ্যায়ের। তিনি বলেছেন, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যাটা অন্য দেশগুলির থেকে আলাদা। যেখানে ব্রিটেনের মতো দেশে তিন দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, সেখানে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে ছয় দিনে।
ভারতে বেড়েছে বেকারি
অন্যদিকে ভারত লকডাউনের দুই সপ্তাহ পার করে তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে রয়েছে। যাতে ধাক্কা খেয়েছে ভারতের অর্থনীতি। বেড়েছে বেরোজগারি।
মার্চের মধ্যবর্তী সময় থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন শহরে লকডাউন শুরু হয়েছে। তার পরেই থেকেই প্রশ্ন উঠছে করে সেই লকডাউন উঠবে। কবে থেকে শিল্পের কাজ শুরু হবে। ভারতে বেকারি ৮.৪১ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৩.৮১ শতাংশ হয়ে গিয়েছে।
কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং-এ অ্যাপেল, গুগল
মোবাইল ফোনের সফলঅয়্যার মার্কেট প্রায় পুরোটাই অ্যাপের আর গুগলের দখলে। শুক্রবার তারা জানিয়েছে তারা কনট্যাক্ট ট্রেসিং টেকনোলজির লক্ষে কাজ শুরু করেছে। যাতে সফল হলে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে ফেলা সম্ভবপর হবে।
ভ্যাকসিন তৈরি হতে ২০২১-এর শুরু
সারা বিশ্বে বিভিন্ন গবেষণাকারী সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। যার মধ্যে পাঁচটি রয়েছে ফেজ ওয়ান ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে। আর ৭৩ টি রয়েছে প্রিক্লিনিক্যাল স্টেজে। তবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করতে ২০২১-ের শুরু দিক হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।